দায়িত্বটা আমাদের

e274c3b91429d4ab20a13e531ebc7ed1-3আজ রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন। দেশজুড়ে নানাভাবে উদ্‌যাপিত হচ্ছে দিনটি। এত উদ্যাপনের ফাঁকে এবারের রবীন্দ্র-জন্মজয়ন্তী উৎসব ও দেশের রবীন্দ্রসংগীতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বললেন শিল্পী লাইসা ইসলাম

রবীন্দ্র-জন্মজয়ন্তীতে কী করছেন এবার?

ব্যক্তিগতভাবে শাহজাদপুরে বাংলাদেশ সরকারের আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান করছি। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে শুনেছি। তা ছাড়া সাংগঠনিকভাবে যুক্ত আছি ছায়ানটের অনুষ্ঠানমালার সঙ্গে। ৮ ও ৯ মে দুই দিনব্যাপী এই জন্মজয়ন্তী উৎসব হবে।

ছায়ানটের আয়োজনে কী কী থাকছে?

প্রথম দিন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক সোমেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের রবীন্দ্র চিত্রকলার ওপর একটি উপস্থাপনা থাকছে। এটাই এবারের উৎসবের মূল আকর্ষণ। এ ছাড়া দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্যান্য সংগঠনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও অংশ নিচ্ছেন। রবীন্দ্রনাথের গান থাকছে এই উৎসবে। তা ছাড়া গানের সঙ্গে থাকছে নাচ ও কবিতা আবৃত্তি।

নতুন শিল্পীদের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত আছেন?

ছায়ানটে রবীন্দ্রসংগীতের ক্লাস নিই। এ ছাড়া জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সঙ্গেও যুক্ত আছি। এর মাধ্যমে আমরা সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাই। এভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের শিল্পীদের সঙ্গে আমাদের সব সময়ই যোগাযোগ হচ্ছে।

তরুণদের মধ্যে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

আমি বেশ আশাবাদী ওদের ব্যাপারে। ওদের অনেক আগ্রহ। রবীন্দ্রসংগীত শেখার ব্যাপারে, রবীন্দ্রনাথকে জানার ব্যাপারে। শুধু ভালো শিল্পী হিসেবে নয়, ভালো মানুষ হিসেবেও তো গড়ে ওঠার একটা ব্যাপার আছে। সে ক্ষেত্রে বলা যায়, প্রচুর সাড়া পাচ্ছি।

তাদের সম্ভাবনা কেমন দেখছেন?

দেখুন, বাজারে এখন এত কিছু আছে! তবু অনেক ছেলেমেয়ে রবীন্দ্রনাথের গান শিখতে চাইছে। তাদের মধ্যে বাঙালি হয়ে ওঠার একটা সাধনা দেখি। আমরা যদি পৌঁছাতে পারি আমাদের ছেলেমেয়েদের কাছে, তবে বাইরের কিছু তাদের খুব সামান্যই বিচ্যুত করতে পারবে। ওদের অনেক সম্ভাবনা। আসলে দায়দায়িত্বটা আমাদের, আমরা তাদের পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছি কি না।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.