বায়ুমণ্ডলে বিপুল পরিমাণে ছড়িয়ে পড়া কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গ্যাসটি সংগ্রহ ও মজুত করে রাখার পদ্ধতি বের করেছেন বিজ্ঞানীরা। এটি কার্বন ক্যাপচার অ্যান্ড স্টোরেজ (সিসিএস) নামে পরিচিত। কানাডার ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক গ্রিনহাউস গ্যাস (CO2) বন্দী ও মজুত করার আরও কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন। এ লক্ষ্যে তাঁদের ছয় বছরের একটি প্রকল্পে দেশটির প্রকৃতিবিজ্ঞান ও প্রকৌশল পরিষদ সম্প্রতি ১৬ লাখ ডলারের তহবিল দিয়েছে।
সিসিএস কীভাবে কাজ করে
১ বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র ও শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি বা ফসিল ফুয়েল ব্যবহারের ফলে প্রচুর কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়
২ কার্বন ডাই-অক্সাইড সংগ্রহ
৩ তারপর পাইপলাইনের মধ্য দিয়ে সেই কার্বন ডাই-অক্সাইড মাটির নিচের কূপে পাঠানো হয়
…অথবা সরাসরি উপকূল থেকে দূরের সমুদ্রতলে মাটির নিচে মজুত করা হয়
অভেদ্য শিলা (ক্যাপ রক)
পোরাস রক
CO2 শোষণ করে
ক্যাপ রক
সিসিএস প্রকল্প
১৩টি চালু রয়েছে
৯টি নির্মাণাধীন
২০১০ সালের দ্বিগুণ
ক
খননের অনুপযোগী কয়লাস্তরে কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রবেশ করানো হয়। শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য সেখান থেকে মিথেন সংগ্রহ করা যেতে পারে
খ
মাটির অনেক গভীরে লবণাক্ত পানির আধার। সেখানে বিপুল কার্বন রাখার জায়গা রয়েছে কিন্তু সেই মজুত সুরক্ষার উপায় অজানা
গ
কমে যাওয়া তেল-গ্যাসের মজুত। সেখানে কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রবেশ করানোর পর জ্বালানি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে