ভারত, চীন-রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পরিবেশের বিরুপ প্রভাব নিয়ে চীন, ভারত ও রাশিয়ার মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলোকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বেইজিং, নয়া দিল্লি ও মস্কো পরিবেশ সুরক্ষায় তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ভূমিকা রাখছে না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম আইটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি পরিবেশ দূষণ নিয়ে এ দেশগুলোর সুম্পষ্ট কোনো ধারণাই নেই বলে অভিযোগ করেন।
রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি মোটেও আমলে নিচ্ছেন না, দীর্ঘদিন ধরেই তার সমালোচকরা এ কথা বলে আসছেন।
ক্ষমতায় বসেই ২০১৭ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়ে বিশ্বজুড়ে তীব্র বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছিলেন তিনি।
পূর্বসূরী বারাক ওবামার আমলে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি নিয়ে ট্রাম্পের প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল। তার ভাষায় চুক্তিটি ছিল ‘অত্যন্ত বাজে ও একপেশে’।
গুরুত্বপূর্ণ ওই জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেয়ায় দেশে-বিদেশে মিত্রদের তুমুল সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল তাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ অন্য দেশগুলোর তুলনায় ভালো এবং দিন দিন তা আরও ভালো হচ্ছে বলেও এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন। খবর এনডিটিভির।
ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রসঙ্গ উঠেছিল কিনা আইটিভি এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, কথা বলার সময় নির্ধারিত ছিল ১৫ মিনিট, অথচ আমরা কথা বলেছি দেড় ঘণ্টার মতো। তিনিই (চার্লস) বেশি বলেছেন, তিনি সত্যিই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভাবিত।
ব্রিটিশ যুবরাজের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে ট্রাম্প বলেন, আমি (চার্লসকে) বলেছি, সব পরিসংখ্যানেই যেসব দেশের জলবায়ুকে পরিচ্ছন্ন বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তাদের মধ্যে। এটি দিন দিন আরও ভালো হচ্ছে।
ভারত, রাশিয়া ও চীনের ‘পানি ও বাতাস ভালো নয়’ এবং দেশগুলো পরিবেশ সুরক্ষায় তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে না বলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প বলেন, চীন, ভারত, রাশিয়াসহ অনেক দেশের বায়ু ও পানি ভালো নয়; দূষণ ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে তাদের ধারণা নেই। আপনি যদি কিছু কিছু শহরে যান, আমি ওই শহরগুলোর নাম বলতে চাই না, যদিও আমি বলতে পারি। যদি আপনি ওইসব শহরে যান, তাহলে এমনকী আপনি নিঃশ্বাস নিতেও পাবনে না। তারা (দেশগুলো) তাদের দায়িত্ব পালন করছে না।