ভুল দুদিকেই হয়েছে: বিমান সচিব।
‘আমার ধারণা, ভুল দুদিকেই হয়েছে। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা চেক করেননি পাসপোর্ট আছে কিনা। অন্যদিকে, যার পাসপোর্ট সঙ্গে রাখার কথা তিনিও খেয়াল করেননি। তবে এ বিষয়ে আসল কারণ তদন্তের পর জানা যাবে।’ বলেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক। পাসপোর্ট না থাকার কারণে কাতার এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে আটকে দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) একাত্তর টেলিভিশনের সংবাদ পর্যালোচনা ভিত্তিক টক শো ‘একাত্তর জার্নাল’-এ অডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন ডিবিসি টেলিভিশনের সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু ও চিকিৎসক নুজহাত চৌধুরী।
ইতোপূর্বেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু জানতে চান– এ বিষয়ে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন হবে কিনা? জবাবে মহিবুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি যে যতটুকু অপরাধ করে, তার ওই পরিমাণ শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করবো।’
প্রসঙ্গত, বুধবার (৫ জুন) রাতে দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাসপোর্ট না থাকার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদকে আটকে দেওয়া হয়। কাতার থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের পাইলট হিসেবে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
পাইলটরা বিমান নিয়ে বিশ্বের নানা বিমানবন্দরে গেলেও অনেক সময় সেসব দেশের অভ্যন্তরে তাদের প্রবেশ করতে হয় না। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের নিয়ম অনুসারে, পাইলটরা জেনারেল ডিক্লেয়ারেশনের কপি সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণ করেন। জেনারেল ডিক্লেয়ারেশনের কপি ছাড়াও পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে হয় তাদের।