বিশ্বকাপের মধ্যেই অবসরের ঘোষণা যুবরাজের।
একসময় ছিলেন জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারতীয় ক্রিকেটের বহু সাফল্য এসেছে তার হাত ধরে। বিশেষ করে ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! শেষ পর্যন্ত সেই যুবরাজ সিংয়ের জন্যই কিনা জাতীয় দলের দরজাটা আরও আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। সেটা যুবরাজ নিজেও বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর্দা ওঠার আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ভেবেছিলেন যুবরাজ। শেষ পর্যন্ত সেই পথেই হেঁটেছেন ২০১১ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট-সেরা এই ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের এই তারকা অলরাউন্ডার।
আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন যুবরাজ। ২০১৭ সালের জুনে উইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ বারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা গেছে তাকে। চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে আবারও জাতীয় দলে ফেরার সব রকমের চেষ্টাই করেছিলেন ক্যান্সারজয়ী এই ক্রিকেটার। কিন্তু তাতেও সাফল্য পাননি।
২০১৩ সালের পর থেকেই জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন যুবরাজ সিং। ২০১৭ সালে আবারও জাতীয় দলে ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু নিয়মিত হতে পারেননি। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) অনুমোদিত বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলবেন তিনি।
ভারতের দলের হয়ে ৪০ টেস্টে এক হাজার ৯০০ রান করেছেন যুবরাজ। ৪০ টেস্টে তার নামের পাশে রয়েছে তিনটি সেঞ্চুরি ও ১১টি হাফ সেঞ্চুরি। এ ছাড়া ৩০৪ ওয়ানডেতে করেছেন আট হাজার ৭০১ রান। ওয়ানডেতে রয়েছে ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৫২টি হাফ সেঞ্চুরি। ৫৮ টি-টোয়েন্টিতে ৮টি হাফ সেঞ্চুরিতে যুবরাজের সংগ্রহ এক হাজার ১৭৭ রান।