ইরানি তেল ক্রয়ে চীনকে ছাড় দিতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ ইরানের কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে চীনকে ছাড় দিতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্লেষকদের দাবি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে পরাশক্তি চীনকে তেহরানের কাছ থেকে তেল আমদানিতে যেভাবে ছাড় দেওয়া হয়েছিল এবার ঠিক একইভাবে ট্রাম্প প্রশাসনও বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে।
এর আগে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ছয় জাতীর চুক্তি থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন। পরবর্তীতে তিনি এই চুক্তিটিকে একটি অকার্যকর দাবি করে তেহরানের তেল বিক্রিতে এক তরফাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। মূলত যে কারণে বর্তমানে চীনসহ বিশ্বের কোনো দেশই স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ইরানি তেল আমদানি করতে পারছে না।
যদিও সম্প্রতি মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে ইরান থেকে প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল তেলের একটি চালান কিনে নিয়েছে চীন। দেশটির তেল শোধনাগার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ইরানি তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এ দিকে বিশ্লেষকদের দাবি, ইরান থেকে তেল আমদানি করা এখনও চীনসহ বিশ্বের অনেক দেশের কাছে অপরিহার্য। যদিও এসব দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্র তাদের চাপ অব্যাহত রেখেছে। তবে বিকল্প পথ না পাওয়ায় খুব শিগগিরই ট্রাম্প প্রশাসনকে অনেকটা শিথিল হতেও দেখা যেতে পারে।
অপর দিকে গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তেহরানের কাছ থেকে যে দেশ তেল আমদানি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।’
যদিও এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ তিন কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরান বিষয়ক মার্কিন দূত ব্রায়ান হুক ও তার আলোচক দল চীনকে তেহরান থেকে তেল ক্রয়ের বিষয়ে ছাড় দেওয়ার কথা আন্তরিকভাবে বিবেচনা করে দেখছে।