চাচা জোড়ে দলে জায়গা পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন ইমাম উল হক

চাচা জোড়ে দলে জায়গা পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন ইমাম উল হক।

শেষ দিকে জ্বলে উঠলে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে একরকম ভরাডুবি হয়েছে পাকিস্তান দলের। সেমিফাইনালে উঠে ভারতের বিপক্ষে শোচনীয় হারের গ্লানিটা দূর করতে পারত সরফরাজরা।
কিন্তু সেই ব্যর্থতা কাঁধে নিয়েই দেশে ফিরতে হয়েছে তাদের। যে কারণে দলের সবার পারফরম্যান্স নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। ছাড় পাননি জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল হকও।
ইতিমধ্যে ইনজামাম তার পদে বহাল থাকবেন কিনা তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে মাথা চারা দিয়ে উঠেছে আরেকটি বিষয়। সেটি হলো ইনজামাম অধ্যায়ের বিদায় হলে তার ভাতিজা ইমাম উল হক দলে থাকবেন কি?
জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পরই নিন্দুকদের থেকে একটি বাক্য শুনতে হয়েছে ইমামকে। তাহলো, চাচা ইনজামাম উল হকের ক্ষমতার জোরেই জাতীয় দলে খেলতে পারছেন ইমাম।
নিন্দুকদের যুক্তি, পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম এখন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক। আর নিজের এ ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে স্বজনপ্রীতি দেখিয়েই ভাতিজা ইমামকে দলে নিয়েছেন ইনজামাম।
অথচ জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই নিন্দুকদের সে কথার জবাব ব্যাটের মাধ্যমে দিয়ে যাচ্ছেন ইমাম।
টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে না পারলেও, অভিষেকের পর ওয়ানডে ক্রিকেটে বেশ সফল পাকিস্তানের এই বাঁহাতি ওপেনার। এখন পর্যন্ত ৩৬ ওয়ানডে খেলে প্রায় ৫৫ গড়ে রান করে ফেলেছেন ১৬৯২। এর মধ্যে ৬টি ফিফটির পাশে ৭টি সেঞ্চুরি রয়েছে।
এবার নিন্দুকদের সে কথার জবাব তিনি ব্যাটে নয় মুখেই দিলেন। তিনি জানালেন, চাচার জোরে নয়, আল্লাহ্‌র ইচ্ছাতেই পাকিস্তানের জাতীয় দলের খেলেন তিনি।
ইমামের এমন জবাবের পেছনে যে ঘটনা রয়েছে সেটি হলো, ২০১৬ সালের পর থেকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত পাকিস্তানের সামগ্রিক পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করে পিসিবি। এরপরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হককে পরবর্তীতে আরও দায়িত্ব দেয়া হবে নাকি এখনই বিদায় জানানো হবে।
পিসিবির এ সিদ্ধান্তের জেরে অনেকেই ইমামকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করছেন, প্রধান নির্বাচক হিসেবে ইনজামাম স্তফা দিলে আর জাতীয় দলে খেলা হবে না ইমামের।
এ কথা কানে এলে কিছুটা ক্ষোভ ঝেড়েই এমন জবাব দেন ইমাম।
বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরে তিনি বলেন, ‘মানুষ আমার সঙ্গে তার (ইনজামাম) সম্পর্কের ব্যাপারে কী বলে বেড়ায় সেসব আমি পাত্তা দেই না। তবে মিডিয়াতে আমার ব্যাপারে এ কথা বেশি আলোচনা হয় আর দেশের নিহীত সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে ফেলে।’
এরপর ইমাম বলেন, ‘আমি আল্লাহ্‌কে বিশ্বাস করি। আল্লাহ্‌ আমার ভাগ্যে জাতীয় দলে খেলা ঠিক করে রেখেছেন বলেই আমি খেলছি। এছাড়া আর কিছুই নয়। ’
তার বিরুদ্ধে প্রচলিত এমন কথাতে তিন ব্যথিত হন জানালেনও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন বলে জানান এই ক্রিকেটার।
পাকিস্তান দলে যুক্ত হওয়ার পর বেশ ভাল পারফরম্যান্স করে গেলেও চলতি বিশ্বকাপে ইমামের পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য বলা যাবে না। এক সেঞ্চুরি ও এক হাফসেঞ্চুরিসহ ৮ ইনিংসে ৩০৫ রান করতে পেরেছেন তিনি।
এ বিষয়ে ইমাম বলেন, বিশ্বকাপে পুরো দলই চোভে পড়ার মতো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তবে আমরা খারাপও খেলিনি। আমি বলবো আমরা সফলই ছিলাম। নয় ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জিতেছি এবং সেমি খেলতে পারিনি নেট রানরেটের কারণে। এ জন্য সমর্থকদের মতো মতো আমরাও খুব হতাশ।’

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.