ডুবে গেল যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের বেজমেন্ট অফিস।
ভারি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় প্লাবিত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি। অবশ্য এখও কোনো প্রাণহানির খবর মেলেনি। সোমবার এক ঘণ্টার রেকর্ড বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে গোটা এলাকা।
এমনকি পানি ঢুকে পড়ে হোয়াইট হাউসের বেজমেন্টেও। দেশটির জাতীয় আবহাওয়া দফতর সবাইকে সতর্ক করে বলেছে, একেবারে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সবারই উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেয়া প্রয়োজন।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে রেগন ন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এলকায় ৩.৫ ইঞ্চি বৃষ্টি হওয়ার ফলে পানি জমে গেছে। এর আগে ১৯৫৮ সালে এক ঘণ্টায় ২.২ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছিল। ১৮৭১ সালের পর এ নিয়ে সপ্তমবার জুলাইয়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হল বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের আবহাওয়াবিদ মার্ক চেনার্ড।
আরলিংটন, ভার্জিনিয়াতেও সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রায় ৫ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে। মেট্রো স্টেশনগুলোতে সিলিংয়ের মাধ্যমে ভেতরে পানি ঢুকে গেছে। এ কারণে সেবা ব্যাহত হয়েছে।
পানি ঢুকে যাওয়ায় ওয়াশিংটনের জাদুঘর ও স্মৃতিসংগ্রহশালাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির ফায়ার সার্ভিস ও জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, পানিতে বেশ কয়েকটি গাড়ির চালক আটকে পড়েন। এমন ১৫ জন গাড়ি চালককে উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করার জন্য হলুদ রাবার লাইফবোট ব্যবহার করছেন উদ্ধারকারীরা। টুইটের ছবিতে হোয়াইট হাউসের (১৬০০ পেনসিলভানিয়া এভিনিউয়) নিচ তলার একটি দফতরের মেঝেতে চেয়ার ও ডেস্কের তলায় ভেজা কার্পেট ও পানি দেখা যায়।
সিএনএনের সাংবাদিক বেটসি ক্লেইন হোয়াইট হাউসের ভিতরও পানি ঢুকেছে বোঝাতে একটি ছবি দিয়ে টুইট করেন ‘হোয়াইট হাউস লিক করেছে’। সিএনবিসির হয়ে হোয়াইট হাউসের সংবাদ সংগ্রহ করা সাংবাদিক অ্যামন জাভর্স এক টুইটে লিখেছেন, ‘এটা আনুষ্ঠানিক : হোয়াইট হাউসের বেজমেন্ট প্লাবিত।’ সূত্র : টাইম, রয়টার্স, এনডিটিভি