মার্শাল আইল্যান্ডের নিচু এলাকার বাসিন্দারা শুক্রবার চলমান বন্যা পরবর্তি প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে। দেশটিতে ধারাবাহিকভাবে বন্যা দেখা দেয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। চলতি সপ্তাহে মার্শালের বেশ কয়েকটি জনবসতিপূর্ণ এলাকা বিরাট ঢেউ ও ঝড়ের কবলে পড়ে প্লাবিত হয়েছে। প্রকৃতি এলাকাগুলোর ওপর তাণ্ডপ চালিয়ে তার ধ্বংসলীলার চিহ্ন রেখে গেছে। রাস্তাঘাট, উঠান ও বাড়িঘরে ইটপাটকেল ও ধ্বংসস্তুপ পড়ে আছে। প্রচণ্ড শক্তিশালী বাতাসে এগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। বিগত দুই বছরের তুলনায় এবার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম। এতে কেউ আহত হয়নি। শুক্রবারের মধ্যে বন্যার পানি নেমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সমুদ্রের পানির স্তর বেড়ে যাওয়ায় পরবর্তিতে বন্যার সময় পানি আরো দ্রুততার সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। কিলি দ্বীপের কয়েকশ বাসিন্দাকে বন্যার কারণে বুধবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে। ১৯৪৬ সালে পরমাণু পরীক্ষার শুরু করার জন্য মার্কিন নৌবাহিনী বিকিনি দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীদের সেখান থেকে মার্শাল আইল্যান্ডে পাঠায় । রাজধানী মাজুরোতে কয়েকজন বাড়ির মালিক সমুদ্র প্রাচীর নির্মাণ ও উপকূল জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এদের বাড়ি প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার পানিতে তলিয়ে গেছে।