সাকিব আল হাসানের শাস্তি কমানোর চেষ্টায় বিসিবি।
শাস্তি ঘোষণার সময় আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে, সাকিব আল হাসানের আপিল করার সুযোগ নেই। আইসিসির রায়ে তাই তেমন কিছু করণীয় নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তারপরও সাকিবের দুই বছরের শাস্তির (এক বছর স্থগিত) মেয়াদ কমানোর জন্য দেনদরবার করবে বিসিবি।
আইসিসি ও অন্য কোনো বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যদি কোনো সুযোগ থাকে, তাহলে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা কমানোর চেষ্টা করবে বোর্ড। বিশেষ করে আগামী বছর যেন অস্ট্রেলিয়ায় টি ২০ বিশ্বকাপ খেলতে পারেন সাকিব, সেই চেষ্টা করবে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি ২০ বিশ্বকাপ শুরু হবে ১৫ অক্টোবর। সাকিব মুক্ত হবেন ২৯ অক্টোবর। নিষিদ্ধ অবস্থায় দলে থাকতে পারবেন না। বিসিবির লক্ষ্য সাকিব যেন বিশ্বকাপে খেলতে পারেন। এ জন্য আইনি দিক খুঁজছে বিসিবি।
শর্তসাপেক্ষে দুই বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। এরমধ্যে এক বছর কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবেন না এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার। মঙ্গলবার তাকে এই শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আগেও বলা হয়েছে যে, সাকিবের বিষয়ে বিসিবির করণীয় খুবই সীমিত। যেহেতু সাকিব এই বিষয়টি স্বীকার করে একটি চুক্তির মধ্যে চলে গেছেন, তারপরও আমরা আইনগত বিষয় দেখব, কতটা কাজ করার সুযোগ আছে এখানে। আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের লিগ্যাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দেখছে। এখানে আদৌ কোনো সুযোগ আছে কি না, এই নিয়ে আমরা কথা বলে দেখব।’
২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে আইসিসিকে না জানানোয় সাকিবকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।
সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ায় টেস্ট ও টি ২০ দলের অধিনায়ক নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিসিবি। ভারত সফরে মুমিনুল হককে টেস্টে এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে টি ২০ অধিনায়ক করা হয়েছে। তবে ভারত সফরের পর অধিনায়ক হিসেবে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া যায় কি না ভাবছে বিসিবি।
নিজামউদ্দিন বলেন, ‘সাকিব আমাদের টেস্ট এবং টি ২০ অধিনায়ক ছিল। অধিনায়কের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দ্রুত আলোচনার দরকার ছিল। পরবর্তীতে এটা বোর্ডে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ ধারণা করা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাকিব যদি আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমগুলো ঠিকঠাক পালন করেন এবং নতুন করে কোনো অপরাধে না জড়ান, তাহলে আইসিসি সাকিবের শাস্তি কমাতেও পারে। এছাড়া সাকিবের কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়নি বিসিবি।
এদিকে পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যাবে কি না জানতে চাইলে বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল পাকিস্তান ঘুরে এসেছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ নারী ও অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দল সেখানে গেছে। কিন্তু জাতীয় দলের ব্যাপারটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের নিরাপত্তা দল দলের রিপোর্ট ও আইসিসির সঙ্গে আলোচনা করে পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’