করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বে সব ধরনের খেলা বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনেও।
অনেক আগেই স্থগিত করা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর। তবুও ধারণা করা হচ্ছিল জুনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারে অস্ট্রেলিয়া।
এবার জানা গেল, টিম অস্ট্রেলিয়ার সে সফরও স্থগিত করা হয়েছে।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সমঝোতার ভিত্তিতে সফরটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, চলমান মহামারীতে আগে জীবন, পরে খেলা। সে কথা বিবেচনা করেই এ বাস্তবধর্মী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী জুনে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে না অস্ট্রেলিয়া। নিঃসন্দেহে সিদ্ধান্তটি দুই দলের খেলোয়াড় এবং ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য হতাশাজনক। কিন্তু চলমান সংকটে খেলা বন্ধ রাখই আসল বিচক্ষণতা।
তবে ক্রীড়াপ্রেমীদের এখনই হতাশ না হতে অনুরোধ জানিয়ে নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা আশা করছি, পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর দ্রুতই সুবিধাজনক সময়ে সিরিজটি আয়োজন করতে পারব। এ বিষয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ থাকবে।
এদিকে সফর স্থগিতের সিদ্ধান্ত বিষয়ে বাংলাদশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
এক বিবৃতিতে সিএ প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস বলেছেন , সফর স্থগিত হওয়া দুঃখজনক। তবে বিশ্বজুড়ে কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়াই বাঞ্ছনীয়। এ জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ যে, তাদের সঙ্গে আন্তরিক এবং দায়িত্বপূর্ণ আলোচনার ফলেই আমরা সমঝোতার একটা পর্যায়ে যেতে পেরেছি।
তিনি আরও জানান, অদূর ভবিষ্যতে ব্যস্ত সূচির মধ্যেও দুই বোর্ড আলোচনা করে সিরিজ সফল করতে নতুন তারিখ বের করব।
অস্ট্রেলিয়া সফর স্থগিত হলেও বাতিল হচ্ছে না বলে জানিয়েছি বিসিবি সূত্র।
তারা জানায়, সিরিজটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আওতায় থাকায় বাতিল করার সম্ভাবনা নেই। ভবিষ্যতে দুই বোর্ড মিলে বসে নতুন সূচি তৈরি করবে।
উল্লেখ্য, আগামী জুনে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ১১ জুনে শুরু হয়ে ২৩ জুনে সিরিজ শেষ করে দেশের পথে উড়াল দিত অসিরা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সব পরিকল্পনাই ভেস্তে গেল।