‘অসুখে’ ভোগা বার্সেলোনায় করোনার পরীক্ষাগার

করোনাভাইরাস অর্থাৎ কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে ছোটখাটো একটি পরীক্ষাগার (ল্যাবরেটরি) হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বার্সার মাঠ ন্যু ক্যাম্প। নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কোনও প্রতিষেধক প্রয়োগে রোধ করা যায় কি না সেই পরীক্ষার জন্যই নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এটি। আর এই প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন ডাঃ ওরিওল মিতিয়া ও ডাঃ বোনাভেনতুরা ক্লোতেত।

ম্যালেরিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধ হাইড্রোক্লোরোকুইন করোনা প্রতিরোধে কতটা কার্যকর বা আদৌ কার্যকর কি না সেটিই পরীক্ষা করে দেখবেন তারা। ৩০০০ লোকের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে। ইতিমধ্যে ১৭৪৫ জন তাদের নাম নিবন্ধনও করেছেন।

মার্কায় প্রকাশিত এই খবর বার্সার একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে দেয়। যে ভয়ঙ্কর অসুখে ভুগছে স্পেনসহ গোটা পৃথিবী, সেটি নিরাময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাবটি। কিন্তু মেসিদের ক্লাবটি নিজেই যে ভুগছে বড় অসুখে! সেই অসুখের নাম বর্তমান বোর্ডের মধ্যে অনৈক্য এবং বোর্ড প্রধান জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের স্বেচ্ছাচারিতা। আর সেটির জেরে বৃহস্পতিবার একযোগে পদত্যাগ করেছেন ৬ জন পরিচালক। চার পরিচালক এমিলি রুসো, এনরিকে তোমবাসে, সিলভিও এলিয়াস ও হোসে পন্তকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন বার্তেমেউ। এদের সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন মারিয়া তিসিদোর ও ইয়র্দি কালসামিলিয়া। এই ছয় পরিচালকের পদত্যাগের ফলে বার্সার পরিচালনা পর্ষদে সদস্য ১৯ থেকে কমে হলো ১৩।

ঘটনাটা ঘটেছে মূলত এমিলি রুসোকে কেন্দ্র করে। বার্সার আগামী নির্বাচনে তাকে শক্ত সভাপতি প্রার্থী হিসেবে দেখা হচ্ছিল। বার্সার বোর্ড মিটিংয়ের খবর তিনি গণমাধ্যমে ফাঁস করে দিয়েছেন, এই অজুহাতে তাকে আগের দিন সহসভপতি পদ থেকে অবনমিত করা হয়। তারপর তিনি সংবাদমাধ্যমে ‘বার্সাগেট’ কেলেঙ্কারি নিয়ে, বার্তোমেউয়ের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে মুখ খোলেন। বার্তোমেউকে বলেন ‘বিশ্বাসঘাতক’ । আর এরই জেরে তাকেসহ আরও তিন পরিচালককে পদত্যাগ করতে বলেন বার্তোমেউ। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করে বসলেন আরও দুই পরিচালক।

পদত্যাগের পর এক যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন ছয় পরিচালক। মূল যে বিষয়টিতে তারা জোর দিয়েছেন তা হলো ‘বার্সাগেট’। সেই যে গত বছরের একেবারে শেষপ্রান্তে সংবাদমাধ্যম এই বোমাটি ফাটিয়ে দেয় যে, মেসি-পিকে-বুসকেটসদের নামে কুৎসা রটিয়ে তাদের বার্সা সমর্থকদের কাছে হেয় করতে ১৩ ভেঞ্চার নামে একটি পিআর ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর এই প্রতিষ্ঠানই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে মেসিদের বিরুদ্ধে। ছয় পরিচালক বলেছেন, অডিট রিপোর্টে ‘বার্সাগেটে’র জন্য দায়ি বলে যারা চিহ্নিত হবেন, তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। করোনাভাইরাসের সংকট সহনীয় পর্যায়ে এলেই নির্বাচনও দাবি করেছেন তারা।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.