ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় এ বার ডেক্সামেথাসোন ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে।
মাঝারি এবং বেশি মাত্রায় অসুস্থদের ক্ষেত্রে তুলনায় কম খরচের এই স্টেরয়েড ব্যবহার করা যাবে। রেমডেসিভিরের পর এ বার ডেক্সামেথাসোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত।
ভারতের কিছু রাজ্যে এরইধ্যেই পৌঁছেছে রেমডেসিভিরের ভারতীয় সংস্করণ ‘কোভিফর’, দ্বিতীয় পর্যায়ে যা কলকাতায় আসার কথা। তবে, এর কোনওটিই সরাসরি করোনার ওষুধ নয়। ব্রিটেনের ১৭৫টি হাসপাতালে ১১ হাজার ৫০০শ রোগীর উপর ডেক্সামেথাসোন প্রয়োগের গবেষণা চালিয়ে বেশ খানিকটা সাফল্যের মুখে দেখেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। অক্সফোর্ডের গবেষণায় ২৮ দিনে ১৭% মৃত্যুহার কমাতে পেরেছে এ ডেক্সামেথাসন।
শনিবারে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিল করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান। ভারতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ১৮ হাজার ৫৫২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮৪ জনের। সংক্রমণের নিরিখে বিশ্বে ভারত এখন চতুর্থ স্থানে।
শনিবার এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন পর বৈঠকে বসেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিগোষ্ঠী। দেশটিতে করোনা পরীক্ষা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন, দেশের মোট আক্রান্তের ৮৫ শতাংশই ৮টি রাজ্যে। এই পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিগোষ্ঠী৷ এই পরীক্ষায় ব্যবহার করা হবে র্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট৷