যুদ্ধবিমান বিক্রিতে ভর্তুকি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাকিস্তানের যে আটটি এফ-১৬ জেট বিমান কেনার কথা রয়েছে তার জন্য অন্তত আড়াই গুণ বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হবে পাকিস্তানকে। কংগ্রেস এই বিক্রিতে ভর্তুকি দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। কিছু সংসদ সদস্য দাবি করেছেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না পাকিস্তান। খবর বিবিসির।
এদিকে পাকিস্তান জানিয়েছে সন্ত্রাসবাদ দমনে এই জেটগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই কেনাবেচায় যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তাও দরকার বলে অনুরোধ জানিয়েছে পাকিস্তান। ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের মুখপাত্র নাদিম হোতিয়ানা ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে বলেন, অস্ত্র বিক্রি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এই মুহূর্তে এই চুক্তির অবস্থা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান মনে করে সন্ত্রাসবাদ দমনে ক্রমাগত প্রস্তুতি নিতে হবে। এ জন্য দুই সরকারকে যৌথভাবে কাজ করে যেতে হবে।’ এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ওবামা সরকার পাকিস্তানের কাছে এ যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে যথেষ্টই আগ্রহী, কেননা এটা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন। তবে এই জেট বিমানগুলো কিনতে হলে পাকিস্তানকে পুরো মূল্যই পরিশোধ করতে হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে ২৭০ মিলিয়ন ডলারে এ বিমান কেনার কথা ছিল পাকিস্তানের।
বিমানের মূল্যের বাকি ব্যয় বহন করার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর পররাষ্ট্র বিভাগের। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানকে এই বিমান কিনতে আরও ৭০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে।
আরও খবর