ভারতের সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট সার্ভিসের আওতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণা লম্বা পথের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য স্বস্তির কারণ হয়েছে। কেরালা ডায়াসপোরা এবং ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের চাওয়া এই ঘোষণার মাধ্যমে পূরণ হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘোষণা বাস্তবায়ন হয়েছে- যখন শুক্রবার এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিরতিহীন ফ্লাইট কোচিনে অবতরণ করল।
কোচিন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (সিআইএএল) এআই১১৮৬ নামক ফ্লাইটটি অবতরণের পর যাত্রীদের অভিবাদন (ওয়াটার স্যালুট) জানিয়েছে। ওই ফ্লাইটে ১৩০ জন যাত্রী ছিল। ফ্লাইটটি ফিরতি পথে ২২৯ জন যাত্রী নিয়ে লন্ডনে উদ্দেশে আকাশে ওড়ে। সরাসরি ইউরোপের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ মেলায় সিআইএএল এয়ার ইন্ডিয়ার ল্যান্ডিং ফি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। লন্ডন থেকে কোচিনের ফ্লাইট ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলাচল করবে।
এদিকে এভিয়েশন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব উষা পাঢি এক আদেশে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে খাবার সরবরাহের অনুমতি দিয়েছেন। করোনা মহামারী রোধে ২১ মে ফ্লাইটে খাবার সরবরাহ স্থগিত ঘোষণা করে সরকার। খাবার সরবরাহ বন্ধের ঘোষণায় উপসাগরীয় অঞ্চলসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে ভারতীয় অভিবাসী যাত্রীদের ওপর চরম দুর্ভোগ নেমে আসে। লম্বা পথের ওইসব ফ্লাইটে খাবারের অভাব দেখা দেয় কারণ ভারতের সব বিমানবন্দরে খাবার সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট থেকে নেমে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যাত্রীদের খাবারের জন্য নিদারুণ কষ্ট করতে হয়েছে। করোনা ঝুঁকির মধ্যে খাবার বন্ধের সিদ্ধান্ত বিশেষ করে শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের জন্য খুবই দুর্ভোগ বয়ে আনে।
সূত্র : গালফ টুডে