পাত্র চাই বিজ্ঞাপন দিয়ে তিন বছরেই ২০ কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন এই কানাডার সিটিজেন। ডিভোর্সি, সন্তানহীন, নামাজি পাত্রীর জন্য ব্যবসার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী বয়স্ক পাত্র চাই। এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন সাদিয়া জান্নাত নামের বরিশালের এক নারী। অবৈধ এ অর্থে ঢাকায় ২০ কোটি টাকার সম্পদও গড়েছেন তিনি।
বর্তমানে তার চারটি ব্যাংক হিসাবে স্থিতি রয়েছে ১ কোটি টাকা। রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেফতারের পর গতকাল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার গুলশান থেকে সাদিয়া জান্নাত নামের ভয়ংকর ওই প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে ভুক্তভোগীদের বেশকিছু পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, তিনটি মেমরি কার্ড, সাতটি সিল, অসংখ্য সিম ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা টাকার একটি হিসাব বই উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের বরাত দিয়ে শেখ রেজাউল হায়দার বলেন, বিজ্ঞাপন দেখে মো. নাজির হোসেন প্রতারক জান্নাতুলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে গত ১২ জুলাই গুলশান ১ থাই সিগনেচার রেস্টুরেন্টে দেখা করেন।
বিয়ের পর তাকে কানাডায় নিয়ে যাবে এবং সেখানে তার ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা দেখভাল করবেন, জান্নাতুলের এসব কথায় বিশ্বাস করে ভুক্তভোগী প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট দেন। পরে প্রতারক জান্নাতুল জানায়, কানাডায় প্রচুর শীত, তাই সেখান থেকে তার ২০০ কোটি টাকা ফেরত নিয়ে আসবেন। পরে দেশেই ব্যবসা করবেন।
ডিএইচএলের মাধ্যমে ওই টাকা ফেরত আনতে ভুক্তভোগী নাজির হোসেনের কাছ থেকে বিভিন্ন তারিখে ট্যাক্স/ভ্যাট/ডিএইচএল বিল বাবদ মোট ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন প্রতারক জান্নাতুল ফেরদৌস।
সিআইডি জানায়, গত ১১ বছরে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে জান্নাতুল। তার একটি হিসাব খাতা জব্দ করা হয়েছে। সেখানে ২৫-৩০ কোটি টাকার হিসাব পাওয়া গেছে। তার চারটি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি টাকার স্থিতি রয়েছে।
-সুত্র বণিক বার্তা