এই সময়ে দাঁড়িয়ে পৃথিবীতে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অন্যতম আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
তবে এ নিয়ে চর্চা কিন্তু হাল আমলে শুরু হয়নি।
যন্ত্রকে কীভাবে মানুষের মতো চিন্তা করানো যায় তা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে আধুনিক কম্পিউটার তৈরি হওয়ার আগেই।
এখন গোটা জগতে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের রমরমা।
বিশেষ করে করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী যখন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তখন একটি অস্ট্রেলিয়ান প্রযুক্তি সংস্থা ইলেনিয়াম অটোমেশন যাত্রীদের সুবিধার জন্য এমন কিছু প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে যা ভবিষ্যতে বিমান ভ্রমণের ধারণাই বদলে দিতে পারে ।
তারা একটি যাত্রীবাহী কিয়স্ক তৈরী করেছে। যা পোর্টেবল, ক্লাউড-ভিত্তিক ।
এর মাধ্যমে কারোর সাহায্য ছাড়াই যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং করে বিমান বন্দরে চেক-ইন করার সুবিধা মিলবে ।
বিভিন্ন দেশ যখন বিমানে যাত্রার সময়ে করোনা ভাইরাস , ফ্লু এর লক্ষণ যুক্ত যাত্রীদের আলাদা রাখার চেষ্টা করছে তখন এই মেশিন বলে দেবে কোন যাত্রীর শরীরে এই রোগের লক্ষণ রয়েছে।
কোনও যাত্রী বিমানে ওঠার আগে ডিভাইসের সামনে যদি দাঁড়ান , তাহলে এটি অসুস্থতার সম্ভাব্য লক্ষণগুলোর পাশাপাশি ব্যক্তির তাপমাত্রা, হার্টের হার এবং শ্বাস প্রশ্বাসের হার শনাক্ত করে দেবে কোনো সংস্পর্শ ছাড়াই।
অ্যারন আশা করেন যে, মহামারির মধ্যেও বিমান পরিষেবা যাতে সচল থাকে তার জন্য তাদের বানানো ডিভাইসটি লক্ষণাত্মক যাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের বিমানে প্রবেশ করা থেকে বাধা দিয়ে পরিষেবাগুলো পুনরায় চালু করতে সহায়তা করবে ।
২০১৬ সালে এলেনিয়াম অটোমেশন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
যার মাধ্যমে বিমান পরিষেবায় কার্যত বিপ্লব ঘটে যায়।
কারণ এই মেশিন যাত্রীদের টার্মিনাল দিয়ে দ্রুত এগিয়ে যেতে এবং বিমান ধরার কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে ।
হর্নলিম্যান বলেছেন , কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে তাদের মেশিন নিখুঁতভাবে বহুল পরিমাণ ডেটা সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করতে সক্ষম।
মেশিনে সুক্ষ থার্মাল ডিটেক্টর বসানো আছে যার মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেনস অসুস্থতার লক্ষণযুক্ত কোনো যাত্রীকে শনাক্ত করে তাকে বিমান বন্দরে প্রবেশে সঙ্গে সঙ্গে বাধা দেবে।