পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া হলো প্রধানমন্ত্রীকে

new_zealand1462962135পার্লামেন্ট থেকে থেকে বের করে দেওয়া হলো নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কিকে।

নির্দেশ উপেক্ষা করায় তাকে সংসদ কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন স্পিকার ডেভিড কার্টার। পরে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্ট থেকে বেরিয়ে যান।

নিউ জিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম রেডিওএনজি ডটকম জানিয়েছে, বুধবার দুপুরে পার্লামেন্টে অধিবেশন চলার সময় প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীকে বের করে দেওয়া হয়।

পানামা পেপারস-সংক্রান্ত কেলেঙ্কারী নিয়ে গ্রিন পার্টির উপ-নেতা জেমস শ-এর এক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় উত্তেজিত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী জন কি। তাকে শান্ত হয়ে নিজ আসনে বসে পড়ার আহ্বান জানান স্পিকার। কিন্তু স্পিকারের কথায় কান না দিয়ে কথা চালিয়ে যান তিনি। এক পর্যায়ে তাকে সংসদ কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার।

বিদেশে অর্থপাচারসংক্রান্ত আলোড়ন সৃষ্টিকারী গোপন নথিভান্ডার পানামা পেপারসে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যামনেস্টি, গ্রিনপিস, রেড ক্রসের নাম আছে দাবি করে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী জন কি। তথ্যপ্রমাণ ছাড়া এমন দাবি করায় কেন তিনি এসব সংস্থার কাছে ক্ষমা চাইবেন না- জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেন জেমস শ। এর উত্তর দেওয়ার সময় মেজাজ হারান তিনি। শাস্তি স্বরূপ তাকে সংসদ কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।

স্পিকার ডেভিড কার্টার বলেন, আমি দাঁড়িয়ে তাকে সতর্ক করেছি। সংসদ কক্ষে অন্য সদস্যদের মতোই আচরণ করা হয়েছে তার সঙ্গে।

এর আগে স্বেচ্ছাসেবী ওই সংস্থাগুলোর নাম ব্যবহার করে অর্থপাচার করে কিছু প্রতারক। এ জন্য ভোগান্তিতে পড়ে সংস্থাগুলো। এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে সংসদ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাকে ‘লজ্জাজনক’ বলেছেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।

২০০৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ককে একবার পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ল্যাং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৮৬ ও ১৯৮৭ সালে দুই বার তাকে সংসদ কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। সাধারণত আদেশ অমান্য করলে প্রধানমন্ত্রীসহ যেকোনো সংসদ সদস্যকে পার্লামেন্ট থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন স্পিকার।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.