বিশ্ব পর্যটন ম্যাপে শিগগিরই বাংলাদেশ জায়গা করে নিবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
রোববার (০৫ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘পর্যটন শিল্পের বিকাশে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। বৈঠকের আয়োজন করে ট্যুরিজম অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবনসহ তিন পার্বত্য অঞ্চলে ইকো-ট্যুরিজম গড়ে তুলতে কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ট্যুরিজমের উপর ইভেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে। নেপালের সঙ্গে ‘হিল অ্যান্ড সি’ অর্থাৎ নেপালের পাহাড় এবং আমাদের সমুদ্র নিয়ে যৌথ পর্যটন কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। বিশ্ব পর্যটন ম্যাপে শিগগিরই বাংলাদেশ জায়গা করে নেবে।’
মেনন বলেন, ‘আমাদের তরুণ পর্যটকরা এখন শুধু ঘুরে বেড়াতেই চায় না, তারা সমুদ্রে গিয়ে সার্ফিং করতে চায়, পাহাড়চূঁড়ায় উঠতে চায়। বিভিন্ন রকম অ্যাডভেঞ্চার করতে চায়। তাই এসব বিষয় মাথায় রেখে ট্যুরিজম প্রোডাক্টগুলো নির্ধারণ করা হচ্ছে।’ পর্যটন এখন শুধু বিনোদন নয়, এটি শিল্প উদ্যোগের বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আগামী বছর বাংলাদেশে ওআইসি (অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ) পর্যটন সামিট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ওআইসিভুক্ত দেশগুলো তাদের পর্যটনকে এগিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে। সম্প্রতি মক্কা নগরীকে পর্যটন শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’
জাতীয় বাজেটে পর্যটন খাতের জন্য যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার সুষ্ঠু ব্যবহার করে খাতটিকে আরো এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন মেনন।
এ সময় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) সিইও আক্তারুজ্জামান কবির বলেন, ‘গবেষণার দিক থেকে আমরা খুবই পিছিয়ে। আমাদের কাছে তেমন কোনো ডাটা নেই। বলা হয়ে থাকে, বিটিবি সরকারের কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা পেয়েও তা খরচ করতে না পেরে আবার ফেরত দিয়ে দিয়েছে। এ তথ্য ভুল। বোর্ড সরকার থেকে কোনো টাকাই পায়নি, খরচ করবে কি আর ফেরতই বা দিবে কি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেন বলেন, ‘পর্যটকদের জন্য নানা ফ্যাসিলিটি তৈরি করতে হবে। তাদের অ্যাকটিভ রাখতে হবে। এজন্য পর্যটন এলাকাগুলোতে থিয়েটার হল, সিনেপ্লেক্স, সুইমিংপুল, গোলফ গ্রাউন্ড ইত্যাদি গড়ে তুলতে হবে। অর্থাৎ একজন পর্যটকের জন্য অ্যাকটিভিটি, ফ্যাসিলিটি এবং কানেকটিভিটি সুবিধা থাকতে হবে।’
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন- ট্যুরিজম অ্যান্ড অ্যানভায়রনমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান, ড্যাফডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম বিভাগের প্রধান মাহবুব পারভেজ, ডিআরইউ এর সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ও লে. জে. (অব.) জহিরুল আলম প্রমুখ।