আবার নতুন করে করোনায় আঘাত হানতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ায়

কোভিড-১৯ আবার নতুন করে আঘাত হানতে শুরু করেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাজ্য।

শনিবার ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় ১৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসের ১১১ জন আছেন। যা এটি দ্বিতীয় ধাপে সর্বোচ্চ শনাক্ত এবং তাদের ৪২ জন কমিউনিটি ট্রান্সমিটেড। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

এই অবস্থায় আজ শনিবার মধ্যরাত থেকে লকডাউনের বিধিনিষেধ আরও কঠোর হচ্ছে। সোমবার থেকে বৃহত্তর সিডনিতে জরুরি নয় এমন সব নির্মাণ কাজ ৩০ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার ২১ জুলাই থেকে সকল নিয়োগকর্তাকে বলা হয়েছে, তাদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যদি বাসা থেকে কাজ করার সুযোগ থাকে তাহলে সেই সুযোগ দিতে হবে। তা না হলে নিয়োগকর্তাদের ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

সিডনির ফেয়ারফিল্ড, ব্যাংকসটাউন ও লিভারপুল এলাকার কেউ (জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মী ছাড়া) নিজস্ব কাউন্সিল এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না। নতুন সংক্রমণের ৮০ শতাংশ এই তিন সিটি কাউন্সিলের। এছাড়া সিডনিতে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

গত তিন সপ্তাহ ধরে সিডনিতে চলছে লকডাউন এবং তা আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।

লকডাউনের মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

অস্ট্রেলিয়ায় ৯০ শতাংশ মানুষ এখনো টিকা নেননি। বর্তমানে টিকা নেওয়ার প্রবণতা বাড়লেও, শুরুর দিকে অধিকাংশ মানুষ আগ্রহী ছিলেন না।

এছাড়াও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সবাই নিয়ম মেনে ঘরে থাকছেন না। লকডাউনের সময়ে সমুদ্র সৈকতে ও শপিং সেন্টারে যে ভিড় দেখা গেছে তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রশাসন।

রাজ্যের প্রিমিয়ার গ্লাডিস বেরেজিক্লিয়ান বলেছেন, ‘বর্তমান সংক্রমণ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। এটা আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না।’

প্রিমিয়ার আরও বলেন, ‘বিধিনিষেধ বাড়াতে আরও ‘কঠোর’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। আমরা প্রতিদিন সংক্রমণের গতি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করছি।’

আকিদুল ইসলাম, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক, সুত্র-ডেইলী স্টার

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.