কাবুল বিমানবন্দরে সেনা মোতায়েনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেয়েছেন তুরস্ক

আফগানিস্তানে অন্য সব দেশের সৈন্যরা কাবুল ত্যাগ করলেও থেকে যাচ্ছে তুর্কিরা। শিগগিরই হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিচ্ছে তারা। কাবুল বিমানবন্দরে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তালেবানরা কাবুলের দখল নিতে সক্ষম হলে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ পরিস্থিতি এড়ানোর ক্ষেত্রে কাবুলে তুর্কি উপস্থিতি সবচেয়ে বড় প্রভাবক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আফগান গোত্রভিত্তিক সমাজকাঠামোর পুরোটায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার মতো রাজনৈতিক সক্ষমতা তালেবানদের নেই। তালেবানরা কাবুলের দখল নিতে সক্ষম হলে গোটা আফগানিস্তানেই গৃহযুদ্ধ আরো মারাত্মক আকার নেবে। কাবুলে তুর্কি উপস্থিতি এ বিপর্যয় এড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হয়ে উঠেছে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানে ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন রেজল্যুট সাপোর্ট মিশনের অংশ হিসেবে কাবুল বিমানবন্দরে ছয় বছর মেয়াদি সামরিক ও লজিস্টিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে তুরস্ক। মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্যরা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ মিশনের সমাপ্তি ঘটবে।

বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দরে তুরস্কের সামরিক মিশন নিয়ে আঙ্কারা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা চলছে। উভয় পক্ষই বলছে, এ আলোচনা বেশ ফলপ্রসূভাবেই এগোচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ন্যাটো জোটভুক্ত অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের বেশ অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে মস্কোর সঙ্গে আঙ্কারার সুসম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটোভুক্ত অন্যান্য দেশের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তুরস্কের।

এরদোগানের সাম্প্রতিক বক্তব্যগুলো বলছে, আলোচনার মাধ্যমে আফগান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তিনি। এজন্য তালেবানদের প্রতি তিনি আলোচনার আহ্বানও জানিয়েছেন। এরদোগান বলেছেন, অনেক বিষয়ই রয়েছে, যেগুলো নিয়ে তালেবানদের মধ্যে অস্বস্তি কাজ করছে। এর পরেও তারা যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছে, সেভাবে তুরস্কের সঙ্গেও আরো অনেক বেশি সহজভাবে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.