যুক্তরাজ্য কী ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকছে? নাকি আলাদা হয়ে যাচ্ছে ২৮ দেশের জোট ইইউ থেকে? বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সেই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন দেশটির জনগণ।
গণভোটে তাদের রায়ের উপরই নির্ভর করছে যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যত পথচলা। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।
দেশটির চার প্রদেশ-ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের পাশাপাশি এই গণভোটে অংশ নিচ্ছেন স্পেন উপকূলের অদূরের ব্রিটিশ শাসিত ক্ষুদ্র ভূখণ্ড জিব্রাল্টারের অধিবাসীরা। সব মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মূলত ইইউ’র উন্মুক্ত সীমান্ত নীতির কারণে যুক্তরাজ্যে জোটের অন্যান্য সদস্যদেশ থেকে আসা অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ছে। আর এর ফলে সৃষ্ট বিতর্কের জের ধরেই এ গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে।
গত সাধারণ নির্বাচনের আগে দেশবাসীর কাছে ২০১৭ সালের মধ্যে এ নিয়ে গণভোটের অঙ্গীকার করেন ডেভিড ক্যামেরন। তিনি নিজেও ইইউ’তে থেকে যাওয়ার পক্ষে।
গণভোটকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য। চার মাস ধরে ‘রিমেইন’ (যারা ইইউতে থাকার পক্ষে) আর ‘লিভ’ (যারা ইইউতে থাকার বিপক্ষে) এ দুই ভাগে বিভক্ত রাজনীতিকেরা।
‘থাকা’ ‘না থাকা’র বিষয়ে নিজ নিজ পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরে প্রচারণা ও বিতর্কেও মেতেছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনসহ দেশটির প্রধান রাজনৈতিক নেতারা ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন।
আর অভিবাসনবিরোধী দল ইউকে ইনডিপেনডেন্স পার্টি (ইউকিপ) ও ক্যামেরনের মন্ত্রিসভার বিদ্রোহী সাত সদস্য ইইউবিরোধী প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ জুন) সকাল নাগাদ গণভোটের ফল জানা যাবে।