পর্তুগালে এক দশকে বাংলাদেশীদের আগমনের সংখ্যা বেড়েছে ১০ গুণ। পর্তুগালের বর্ডার এবং ইমিগ্রেশন সার্ভিস এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সালে পর্তুগালে ৯ হাজার ৯ শত ১৬ জন বাংলাদেশি বসবাস করছেন।
অপরদিকে গত ২০১০ সালে বাংলাদেশের সংখ্যা ছিল মাত্র ১ হাজার ৭ জন ফলে দেখা যায় যে, পর্তুগালে গত এক দশকে বাংলাদেশের সংখ্যা বেড়েছে ১০ গুণ বা প্রায় ৯০ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় তবে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারত ২৪ হাজার ৫৫০ জন অতঃপর দ্বিতীয় অবস্থানে নেপাল ২১ হাজার ১৫ জন, পাকিস্তান ৬ হাজার ৩৮১ জন, শ্রীলংকা ১০২ জন, ভুটানের ৭ জন এবং মিয়ানমারের ৩ জন নাগরিক পর্তুগালে বসবাস করছেন।
পর্তুগালে ১৯৮০-৯০ দশকে প্রথম স্বল্প কয়েকজন বাংলাদেশিদের আগমন ঘটে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে এবং একই ভাবে এদের একটা বেশিরভাগ অংশই লিসবন মেট্রোপলিটন এরিয়া, আলগার্ভ, পোর্তো জোনে বসবাস করেন। কেননা উক্ত অঞ্চলগুলোতে বাংলাদেশিদের কমিউনিটি গড়ে উঠেছে তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ এবং চাকরির সহজলভ্যতাই অন্যতম বিশেষ কারণ।
পর্তুগালে সর্বমোট অভিবাসীদের সংখ্যা ৬ লাখ ৬২ হাজার ৯৫ জন তবে এর মধ্যে প্রায় ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ হিসেবে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৯৯৩ জন ব্রাজিলিয়ান নাগরিক।
দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাজ্য ৪৬ হাজার ২৩৮ জন তাছাড়া ষষ্ঠ অবস্থানে এশিয়ার মধ্যে প্রধান চীনের ২৬ হাজার ৭৪ জন এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক বসবাসকারী অভিবাসী দেশগুলোর প্রথম দশটি দেশের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইতালি, ফ্রান্স, রোমানিয়া ও রয়েছে।
তবে রাজধানী অধ্যুষিত লিসবন মেট্রোপলিটন এরিয়াতে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৮৫ হাজার ৫৭০ জন অভিবাসীসহ ফারো, সেতুবাল এবং পোর্তো মিলিয়ে ৫ লাখের বেশি অভিবাসী এই তিনটি এরিয়াতে বসবাস করেন তবে পর্তুগালের প্রত্যেকটি অঞ্চলেই অভিবাসীরা বিস্তৃত হয়েছেন।
ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো গত দশকের আগে থেকে বাংলাদেশিদের কাছে পরিচিত থাকল অন্যান্য দেশে নিয়মিতভাবে বসবাস করার জটিলতার কারণে এবং পর্তুগাল সরকারের সহজ অভিবাসন নীতি পরিপেক্ষিতে বাংলাদেশিদের কাছে পর্তুগাল পরিচিত হয়ে ওঠে ফলে গত দশকে বেশিরভাগ বাংলাদেশি পর্তুগালে আগমন করেছেন এবং সংখ্যাটা পরবর্তী বছরগুলোতে জ্যামিতিক হারে বাড়ার সম্ভাবনার চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে।