ভারতের জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) একটি বহরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চোরাগোপ্তা হামলায় আট জওয়ান নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছে।
শনিবার রাজ্যের পুলওয়ামা জেলার পামপোরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন সিআরপিএফের মহাপরিচালক দুর্গা প্রাসাদ।
গোলাগুলির প্রশিক্ষণ শেষে লাথপোরা থেকে ছয়টি সামরিক যানে করে ওই জওয়ানরা ফিরে আসার সময় শ্রীনগরের কাছে মহাসড়কে হামলার শিকার হয়।
সিআরপিএফ জওয়ানদের পাল্টা গুলিতে দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়। তাদের কাছে একে-৪৭ রাইফেল এবং হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়া গেছে।
মহাপরিচালক প্রাসাদ জানিয়েছেন, বহরের একটি বাস লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ওই বাসটিতে ৪০ জন জওয়ান ছিল।
বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাসটিতে উঠতে চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সফল হওয়ার আগেই জওয়ানদের পাল্টা গুলিতে নিহত হয় বলে জানান তিনি।
নিহত দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র।
গাড়ি চালিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘটনাস্থলে নিয়ে এসেছিল এমন দুই ব্যক্তি গোলাগুলি শুরু হওয়ার আগেই পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।
নিহত দুই বিচ্ছিন্নতাবাদীর কাছ থেকে দুটি একে-৪৭, গুলি ও ছয়টি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাসাদ জানান, নিহত দুই হামলাকারীদের কাছে একে-৪৭ রাইফেলের ১১টি ম্যাগাজিন ও ১৪৭ রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে।
“তারা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল,” বলেন তিনি।
হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। সিআরপিএফ জওয়ানদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তিনি।
নিহত জওয়ানদের শহীদ আখ্যা দিয়ে তাদের মৃত্যুতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
একইদিন জম্মু ও কাশ্মিরের বারামুল্লা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে আরো দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়।
চলতি মাসে জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চালানো চতুর্থ হামলা এটি। আগের তিনটি হামলায় পুলিশ ও বিএসএফের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছিল।