সাগরের ১০,০০০ ফুট গভীরে চীনের মহাকাশ কেন্দ্র

file (4)আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৭০ কিমি উপরে। কিন্তু দক্ষিণ চীন সাগরের ১০ হাজার ফিট গভীরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) এর আদলে আরেকটি মহাকাশ কেন্দ্র বানাচ্ছে চীন।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরে রোবট দিয়ে বানানো হচ্ছে এই চমকপ্রদ কেন্দ্রটি। এর সাথে চীনের প্রাচীরের উচ্চতা ও বিস্তারের মিল থাকায় একে চীনের আরেকটি গ্রেট ওয়াল বলে অভিহিত করেছেন অনেকেই।

মার্কিন প্রতিবেদন ও স্যাটেলাইটের ছবি অনুসারে, সমুদ্রের তলায় এই ‘গ্রেট ওয়াল’ বানানো হচ্ছে রোবট আর ড্রোন দিয়ে। সমুদ্রের তলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে চীন।

বিশেষ করে শত্রু পক্ষের সাবমেরিনগুলোর অবস্থান আর গতিবিধির ওপর সব সময় নজর রাখা হবে এখানে। সংগৃহীত গোপন তথ্য পাঠানো হবে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আর ‘রেড আর্মি’র কাছে।

নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ‘গ্রাউন্ড স্টেশন’ আর মহাকাশের সুদূরতম প্রান্তের সঙ্গে যে ভাবে যোগাযোগ রাখে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন, এটাও অনেকটা সেইরকম কাজ করবে। পাশাপাশি সমুদ্রের তলায় লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন খনিজ পদার্থের সন্ধানও করবে এী কেন্দ্র।

কিন্তু মহাকাশে অবস্থিত না হলেও এটাকে ‘মহাকাশ স্টেশন’ বলা হচ্ছে কেন? কারণ, সমুদ্রের অতলে এই স্টেশনের ভেতরটা বানানো হচ্ছে অবিকল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের আদলে। আর মহাকাশে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনটিও যেমন কক্ষপথে ঘোরার সময় তার অবস্থান বদলায়, তেমনই চীনের এই ‘মহাকাশ স্টেশন’টিও প্রয়োজনে তার অবস্থান বদলাতে পারবে।

সমুদ্রের এতটা গভীরে এত বড় কেন্দ্র তৈরি বিশ্বে এই প্রথম। তাছাড়া এই ‘মেগা-স্ট্রাকচার’ বানানোর জন্য চীন বেছে নিয়েছে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগর। এই জায়গার দখল নিয়ে জাপান, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে রয়েছে চীন। দখল আরও পাকাপোক্ত করতেই সবমিলিয়ে এই উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। এখান থেকে সাবমেরিন-বিধ্বংসী পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারবে তারা।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.