স্বর্ণ চোরাচালানিদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে নিরাপদ স্বর্ণ চোরা চালানের রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে।
নানা কৌশলে তারা এই স্বর্ণ পাচার করে সিলেটের বাজারে নিয়ে আসছে।
এর কিছু অংশ ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যায়।
কিন্তু বেশির ভাগ চালান অধরা থেকে যায়।
বিশেষ করে, ইদানীং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে এই স্বর্ণ চোরাচালান হয়ে আসছে।
কাস্টমসের একাধিক সূত্র জানায়, সৌদি আরব থেকেও স্বর্ণের ছোট ছোট চালান আসে মাঝেমধ্যে।
তবে বিমানবন্দর দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান রোধে তারা তৎপর।
গোয়েন্দা তৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে।
দেখা যায়, দুবাই থেকেই বেশি পরিমাণে স্বর্ণ চোরাচালান হয়ে আসছে।
সর্বশেষ গত ২৭ ডিসেম্বর ওসমানী বিমানবন্দরে ৭ কোটি টাকা মূল্যের ১১ কেজি ২২০ গ্রাম স্বর্ণসহ দুবাই থেকে আসা চার যাত্রীকে আটক করে কাস্টমস বিভাগ। কাস্টমস বিভাগ জানায়, তারা ব্লান্ডার মেশিন ও আয়রন মেশিনের ভেতরে কৌশলে নিয়ে আসেন ঐ পরিমাণ স্বর্ণ।
গত সাত বছরে আড়াই মণেরও বেশি স্বর্ণ উদ্ধার হয়েছে ওসমানী বিমানবন্দর থেকে। ২০১৯ সালের ৮ নভেম্বর দুবাইফেরত যাত্রী নরেন্দ্র নাথের কাছ থেকে ৬ কেজি ১৪৮ গ্রাম ওজনের ৩৮ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করে কাস্টমস।
তখন এর বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
ওসমানীতে উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ৬৩ কোটি টাকা।