জাপানের দীর্ঘসময়ের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জাপানের টোকিওতে রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, আবের স্ত্রী আকি আবেসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুসহ ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলের ৭০০ বিদেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
সবমিলিয়ে শেষকৃত্যে অংশ নেন প্রায় ৪ হাজার ৩০০ অতিথি। পাশাপাশি সারিবদ্ধভাবে শত শত মানুষ আবেকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
তাদের গায়ে ছিল কালো রঙের পোশাক ও হাতে ছিল ফুল।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উপলক্ষে রাজধানী টোকিওতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নিপ্পন বুডোকান হলের আশেপাশে যেখানে অনুষ্ঠানটি হয়, সেখানকার নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল ২০ হাজার পুলিশ। খরচ হয়েছে প্রায় ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ইয়েন। যা ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যের খরচের চেয়েও বেশি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তার পূর্বসূরি ইয়োশিহিদে সুগা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুর ২টায় শেষকৃত্যানুষ্ঠান শুরু হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই শেষ হয়। এ সময় আবের দেহভস্ম নির্ধারিত ভেন্যুতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজন অনার গার্ড কামান থেকে ১৯ রাউন্ড গোলাবর্ষণ করেন।
এদিকে, আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংসদ ভবন ও অন্যান্য স্থানে সমাবেশ করেছেন। অনুষ্ঠানটি বাতিলের জন্য মামলাও করেছিলেন তারা।
৫৫ বছরের মধ্যে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বিপুল অর্থ খরচ করে বিদায় জানাচ্ছে জাপান।
গত ৮ জুলাই পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর নারায় নির্বাচনী প্রচারের বক্তৃতার সময় এক বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন আবে। ওই ঘটনার চার দিন পর ব্যক্তিগতভাবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া করা হয় ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রী থাকা আবের।