সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে এই হামলা বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানায়, ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন হামলায় একজন মার্কিন সামরিক ঠিকাদার নিহত ও অপর একজন আহত এবং আরও পাঁচ মার্কিন সেনা আহত হয়। এরই জেরে বিমান হামলা চালানো হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে ১১ জন ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার হাসাকেহের কাছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের ঘাঁটিতে একটি ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে স্থানীয় সময় রাত ১টা ৩৮ মিনিটে এ হামলা চালানো হয়। হামলাকারী ড্রোনটি ইরানি বলে মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, ‘সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কোরের (আইআরজিসি) সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। সবশেষ হামলার পাশাপাশি সিরিয়ায় জোট বাহিনীর বিরুদ্ধে আইআরজিসি’র সঙ্গে সম্পৃক্ত গোষ্ঠীগুলোর সাম্প্রতিক আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে।’
অস্টিন আরও জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশনায় আইআরজিসি’র সঙ্গে সম্পর্কিত গোষ্ঠীগুলোর ব্যবহৃত স্থাপনা লক্ষ্য করে একাধিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় আহত ওই ঠিকাদার ও তিন সেনাকে চিকিৎসার জন্য ইরাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইরাকে থাকা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর মেডিকেল স্থাপনা রয়েছে। আহত অপর দুই মার্কিন সেনাকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ঘাঁটিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।