এই হামলায় সাগায়িং অঞ্চলের একটি গ্রামে ১৩৩ জন বেসামরিক নিহত হয়েছে। তার মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনসের (আসিয়ান) চেয়ারম্যান এক বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। রয়টার্স
চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা ইন্দোনেশিয়া থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তাৎক্ষণিকভাবে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে বেসামরিক লোকদের উপর যে কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। এটাই হবে মিয়ানমারে শান্তি ফেরাতে এবং জাতীয় পর্যায়ের সংলাপ অনুষ্ঠানের উত্তম পথ।’
জাকার্তা পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার মিয়ানমার বিমান বাহিনী সরকার ও জনবিরোধীদের উপর সীমিত পর্যায়ে হামলা চালানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমান হামলার পর অনেক মৃত শিশুকেও পাওয়া গেছে। তবে বিমান হামলায় কত লোক নিহত হয়েছে তার কোনো হদিস করা যাচ্ছে না। কারণ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন দেহগুলো পুরো এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
আসিয়ানের চেয়ারম্যান হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার দায়িত্ব নেওয়ার চার মাস পর মিয়ানমারের চলমান সহিংসতায় এই হামলা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। আসিয়ান থেকে পূর্বাহ্নে একটি পাঁচ দফা শান্তি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল মিয়ানমারের সামরিক প্রধানকে। তিনি সেই শান্তি প্রস্তাব কার্যকর করার বিষয়েও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি জান্তা প্রধান। ইন্দোনেশিয়া আসিয়ানের চেয়ারের দায়িত্ব পাওয়ার পর নিরবচ্ছিন্নভাবে তা কার্যকর করার ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।