কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের কুষ্টারি গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে থাকেন মজিরন বেগম (৫২)। অন্যের বাড়িতে কাজ করে চালান সংসার। আবাসনের তার ঘরে চলে একটি ফ্যান ও দুটি বাল্ব। অথচ তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা। ভূতুড়ে এ বিলের কাগজ পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন হতদরিদ্র এ নারী।
বিদ্যুৎ বিলের কাগজে দেখা যায়, মজিরনের ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ৪ হাজার ৬৮। তাকে ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। অথচ একটি ফ্যান ও দুটি লাইট জ্বালানোয় আগে তার বিল আসত ২০০-২২০ টাকা।
চিলমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোস্তফা কামাল বলেন, ‘মজিরন বেগম নিজে নিজেই বিদ্যুৎ মিটার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়ে নিয়েছিল। এ কারণে মিটার রিডিং এমন হয়। মূলত মিটার সমস্যার কারণে এ বিল এসেছে। তবে এটি ছিল খসড়া বিলের কপি। আমরা তার বিষয়টি এরই মধ্যে সমাধান করে দিয়েছি।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘মজিরন বেগম আমার প্রতিবেশী। সে আমার অফিসে এসে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছিল। পরে বিষয়টি সমাধান করার জন্য চিলমারী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমকে জানিয়েছিলাম।’