ত্বিধ্বংসী আগুন কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ‘‘এরকম আগুন আগে দেখিনি!’’ এমনই প্রতিক্রিয়া এয়ারপোর্টে কর্মীদের। আগুন লাগার মুহূর্তে ঠিক কি ঘটেছিল সেখানে ? জানালেন বিভিন্ন উড়ান সংস্থার কর্মী থেকে শুরু করে বিমানবন্দরের (Airport) কর্মীরা। ৯টার পর হঠাৎ ভয়ঙ্কর আওয়াজ শোনা যায়। শিউরে ওঠেন সবাই। হইহই শুরু হয় গোটা লাউঞ্জে। তার পর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সকলকে বাইরে বার করে দেন সিআইএসএফ-এর কর্মীরা।
কয়েকজন ব্যক্তি বললেন, ‘‘প্রথমে আওয়াজ শুনে চমকে উঠি, বুঝতে পারিনি কিসের শব্দ। এত জোরে আওয়াজ হয়েছে যে মনে হচ্ছিল গুলি চলছে। তার পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ভরে ওঠে। তখনই বোঝা যায়, ভয়ঙ্কর আগুন লেগেছে।’’যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে বিমানবন্দরের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ৮টি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নেভানো হয়েছে। ধোঁয়ার প্রকোপ কমে গিয়েছে আগের থেকে।
ডিপারচারের ৩ নম্বর গেটের ভিতর সিকিউরিটি চেকিং চলছিল, সেই সময়েই হঠাৎ আগুনের শিখা দেখা যায়। খানিকক্ষণের মধ্যেই ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা এলাকা। কিন্তু আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। অনুমান করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত কলকাতা থেকে কোনও বিমান রওনা দিতে পারেনি। শুধুমাত্র বিভিন্ন জায়গা থেকে বিমানগুলি রানওয়েতে নেমেছে।
এই মুহূর্তে বিমান পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। শুরু হয়েছে সিকিউরিটি চেকিং। বিমানবন্দরে ঢুকতে পারছেন যাত্রীরাও। তবে অগ্নিকাণ্ডের সময় যে সকল বিমান কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে, সেই বিমানগুলি থেকে অনেকক্ষণ যাত্রীদের নামানো হয়নি।
বিমানগুলি কলকাতা বিমানবন্দরের বে-তে যাত্রী-সহ অপেক্ষা করেছে। অনেক বিভাগ যেহেতু সঠিক সময়ে উড়তে পারিনি সেই কারণে প্রত্যেকটা বিমানের ক্ষেত্রে রওনা দেওয়ার সময় দেরি হবে। যে সিকিউরিটি চেকিং এর জায়গায় আগুন লেগেছে সেই কাউন্টার বন্ধ করা হয়েছে আপাতত।