ফটোগ্রাফি একটি আধুনিক শিল্প হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রাপ্ত বয়স্ক প্রায় সবার কাছেই অন্তত স্মার্টফোন রয়েছে। ফলে সময়ের সঙ্গে ফটোগ্রাফি হয়ে উঠেছে সব বয়সের মানুষের চাহিদার অন্যতম একটি বিষয়। কেউ শখ করে, আবার কেউ পেশা হিসেবেই বেছে নিয়েছেন ফটোগ্রাফিকে।
এই শিল্পের শুভ সূচনা ১৮৩৯ সালের ১৯ আগস্ট ‘ড্যাগুইরিয়ো টাইপ’ ফটোগ্রাফি মুক্তি লাভের মধ্য দিয়ে। দিনটিকে স্মরণ করতে এবং শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ফটোগ্রাফির অগ্রযাত্রায় যেসব মানুষ নিরলস কাজ করে গেছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই পালন করা হয় ‘বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস’। বিশ্বের ১৭০টিরও বেশি দেশে এই দিবসটি পালন করা হয়।
নাইসফোর নিপেক ও লুইস ডেগুইর ১৮৩৭ সালে ‘ডেগুইরিয়ো টাইপ’ ফটোগ্রাফিক সিস্টেম আবিষ্কার করেন। বিজ্ঞানী লুইস ড্যাগুইর সর্বপ্রথম ছবি তোলার ব্যবহারিকের গুরুত্ব এবং উপায় আবিস্কার করেন। আর তার নাম অনুসারে ছবি তোলার এই উপায়ের নাম দেওয়া হয় ‘ড্যাগুইরিয়ো টাইপ’ ফটোগ্রাফি। ১৮৩৯ সালের ১৯ আগস্ট ‘ফ্রেন্স একাডেমি অফ সায়েন্স’ প্যারিসে একটি জনসভার আয়োজন করে এবং সেখানে এই কীভাবে ছবি তোলা হয়, সেটি সবাইকে দেখানো হয়। ১৮৩৯ সালের ১৯ আগস্ট ফরাসি সরকার এই দিনকে বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ‘ড্যাগুইররিও টাইপ’ ফটোগ্রাফির জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ‘ড্যাগুইরিও টাইপ’ ফটোগ্রাফি মুক্তি পাওয়ার সেই দিনটিকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ১৯ আগস্ট বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
অস্ট্রেলীয় আলোকচিত্রী কোরস সারা পৃথিবীর সব আলোকচিত্রীদের একত্রিত করার লক্ষ্যে ‘ওয়ার্ল্ড ফটো ডে’ আয়োজন করে ২০০৯ সালে। এর মাধ্যমে ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট প্রথম অনলাইন গ্যালারির আয়োজন করা হয়।