কাস্টমস হাউসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরি, থানায় মামলা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢাকা কাস্টমস হাউসের গুদাম থেকে প্রায় ৫৫ কেজি সোনা চুরি হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা সোনার বার ও অলংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ওই গুদামে রাখা হয়। সেখানে রাখা সোনার হিসাব মেলাতে গিয়েই চুরির বিষয়টি বেরিয়ে আসে। তবে কীভাবে এত সোনা চুরি হলো সে বিষয়ে মুখ খুলছেন না কাস্টম হাউসের কোনও কর্মকর্তা।

এদিকে গতকাল রোববার ঢাকা কাস্টমস হাউজের ভল্টে বিভিন্ন সময়ে জব্দ করা ৫৫ কেজি ৫০১ গ্রাম স্বর্ণের গরমিল থাকায় বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে।

জানা গেছে, কাস্টমসের পক্ষ থেকেও তদন্ত করা হচ্ছে। তারপরে আনুষ্ঠানিকভাবে কি কি খোঁয়া গেছে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানাবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বিমানবন্দরের সূত্র বলছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া পণ্য রাখার স্থানের পাশেই রয়েছে কাস্টমসের গুদাম। সোনার অলংকার ও সোনার বার মিলিয়ে প্রায় ৫৫ কেজি সোনা কাস্টমসের গুদামের একটি আলমারিতে বাক্সের মধ্যে সংরক্ষিত ছিল। সেই বাক্সটিই চুরি হয়েছে। আর কাস্টমসের গুদামের আলমারি ভেঙে চুরি করা হয়েছে বাক্সটি। কাস্টমসের গুদামে কাস্টমসের কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের সুযোগ নেই। সুরক্ষিত এই গুদামে চুরি হলে কাস্টমসের কেউই করেছে। এর মধ্যে সোনার বার ছাড়াও ছিল সোনার অলংকার। চুরি যাওয়া সোনার দাম বর্তমান বাজারদরে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। পুলিশ ও অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সোনা চুরির ঘটনা তদন্তে কাজ করছে।

সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টায় পালাক্রমে চারটি শিফট কাজ করে। এই শিফটগুলোতে জব্দ হওয়া সোনা এক গুদামেই রাখা হতো এতো দিন। তবে স্বচ্ছতা আনার জন্য ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার একেএম নুরুল হুদা আজাদ শিফট ভিত্তিক জব্দ হওয়া সোনা আলাদা আলাদা লকারে রাখার নির্দেশনা দেন। তিনি নির্দেশ দেন, যে শিফট জব্দ করবে তাদের জব্দ করা সোনা তাদের লকারে থাকবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.