প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য রাশিয়ায় প্রবেশ করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বিবিসি।
সপ্তাহ খানেক এ সফরের খবর প্রকাশ্য আসে। ওই কর্মকর্তা জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের পাল্টা আক্রমণের কারণে দেশ দুটি অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে পারে।
সফরের বিষয়টি উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ নিশ্চিত করেছে। সেখানে বলা হয়, কিমের সঙ্গে সামরিক কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন।
ক্রেমলিনও সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
কেসিএনএর ছবিতে দেখা যায়, কিম পিয়ংইয়ং ত্যাগ করার আগে তার সাঁজোয়া ট্রেন থেকে হাত নাড়ছেন। চার বছরেরও বেশি সময় ও কভিড-১৯ মহামারীর পর এটি হতে যাচ্ছে কিমের প্রথম আন্তর্জাতিক সফর।
এর আগে একজন মার্কিন কর্মকর্তা সিবিএসকে জানায়, এ বৈঠকে মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ওই অস্ত্র ইউক্রেনে ব্যবহার হবে।
শেষবার বিদেশ সফর করেছিলেন ২০১৯ সালে কিম। প্রচলিত তথ্য অনুসারে, এ ট্রেনে কমপক্ষে ২০টি বুলেটপ্রুফ গাড়ি রয়েছে। এ কারণে অন্যান্য ট্রেনের চেয়ে ভারী ও গতিবেগও কম। ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটার। ধারণা করা হচ্ছে বন্দর নগরী ভ্লাদিভোস্টকে পৌঁছাতে তার একদিন সময় লাগছে।
হোয়াইট হাউস জানায়, তাদের কাছে নতুন তথ্য রয়েছে যে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র আলোচনা অগ্রসর হচ্ছে। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এর আগে বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু সাম্প্রতিক উত্তর কোরিয়া সফরের সময় পিয়ংইয়ংকে রাশিয়ার কাছে আর্টিলারি গোলাবারুদ বিক্রি করতে রাজি করার চেষ্টা করেছিলেন।
গত জুলাইয়ে কিম ও শোইগুর মধ্যে বৈঠক হয়। ওই সময় প্রদর্শিত অস্ত্রের মধ্যে হাওয়াসং আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত ছিল। কভিড-১৯ মহামারীর পর ওই সময় প্রথম বিদেশী অতিথিদের জন্য দেশের দরজা খুলে দিয়েছিলেন কিম।