চার মাস পর টাইটানের বাকি ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার

টাইটান ডুবোযানের (সাবমার্সিবল) অবশিষ্ট ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করেছেন প্রকৌশলীরা। টাইটানের আরোহীদের অনুমিত দেহাবশেষও উদ্ধার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড।

আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে থাকা বিখ্যাত টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য রওনা দিয়ে গত ১৮ জুন বিপর্যয়কর অন্তর্মুখী চাপে টাইটান ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।

সমুদ্র-পর্যটনে ডুবোযানটি পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশানগেট। এ অভিযাত্রায় টাইটানে পাঁচ আরোহী ছিলেন। তারা সবাই নিহত হন।

নিহতরা হলেন— ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ, ব্রিটিশ ধনকুবের হামিশ হার্ডিং, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান দাউদ ও ফ্রান্সের নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য পল অঁরি নাজোলে।

সাগরপৃষ্ঠ থেকে তলদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে ডুবোযানটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পরে ডুবোযানটির সন্ধানে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। এ ঘটনা সারাবিশ্বের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে।

পাঁচ দিনের মাথায় টাইটানিকের কাছে ডুবোযানটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়ার কথা জানান উদ্ধারকারীরা। তখন টাইটানের কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারও করা হয়। এখন টাইটানের অবশিষ্ট ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের কথা জানানো হলো।

গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারা জানান, ডুবোযানটির অতিরিক্ত অংশ গত সপ্তাহে সমুদ্রের তলদেশ থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা ধ্বংসাবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের একটি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উদ্ধার হওয়া টাইটানের আরোহীদের অনুমিত দেহাবশেষ চিকিৎসা কর্মকর্তারা বিশ্লেষণ করবেন।

দুর্ঘটনার পর উন্মোচিত মার্কিন আদালতের নথিপত্র ইঙ্গিত দেয়, টাইটানের নিরাপত্তা-সম্পর্কিত সতর্কতার বিষয়টি উপেক্ষা করেছিল ওশানগেট। দুর্ঘটনার পর কোম্পানিটি তার সব ধরনের পর্যটন অভিযান স্থগিত করে।

টাইটান দুর্ঘটনা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড বলেছে, এ দুর্ঘটনা নিয়ে ভবিষ্যতে একটি গণশুনানি হবে।

১৯১২ সালে ডুবে যায় বিখ্যাত জাহাজ টাইটানিক। উত্তর আটলান্টিকের তলদেশে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.