চার প্রবাসীর সোনা চুরির বিষয়ে যা জানালো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহের পর মূল্যবান সামগ্রী খোয়া গেছে বলে অভিযোগ করেন চার যাত্রী। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ জানান তারা। অবশ্য রোববার (১৫ অক্টোবর) ঘটে যাওয়া এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, বিমানবন্দরে অবতরণের পর খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে তাদের লাগেজগুলো।
গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মূলত সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে নিয়মমাফিক চেকিং কাউন্টার, ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা তল্লাশিতে ওই চার যাত্রী হাতে পাঁচটি লাগেজ বহন করছিলেন। পরবর্তী সময়ে বিমানে ওঠার আগমূহূর্তে লাগেজ পাঁচটির সাইজ বড় ও ওভারওয়েট হওয়ায় তা কেবিন লাগেজ থেকে হোল্ড লাগেজে স্থানান্তরের জন্য যাত্রীদের জানানো হয়।
এরপর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পরে লাগেজ খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে মর্মে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সদস্যরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানান। এছাড়া একই তথ্য জানান র্যাম্প সিকিউরিটি সদস্যরাও।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ মর্মে যাত্রীরা লিখিত অভিযোগ করেন এবং তাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এছাড়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরেও বিষয়টি নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসের কাছ থেকেও প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (১৫ অক্টোবর) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট (বিজি-৫৮৫)। পরে বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহের পর চার যাত্রী দেখতে পান যে, তাদের মূল্যবান সামগ্রী লাগেজ থেকে খোয়া গেছে। এরপর এক যাত্রী কাঁদতে থাকেন এবং এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনার কারণে মাঝে-মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে।