ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি গতকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) বলেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় যে হামলা চালাচ্ছে, তার নির্দেশনা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এনডিটিভি জানিয়েছে, হামাসের বন্দুকধারীরা সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামলা চালানোর পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বোমাবর্ষণ করছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, হামাস ওই হামলায় ১,৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার (২৫ অক্টোবর) বলেছে, গাজায় সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে শিশুসহ ৫,৫৪৫ জন নিহত হয়েছে।
তেহরানে এক বক্তৃতায় খামেনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র অপরাধীদের নিশ্চিত সহযোগী। গাজায় যে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে তা কোনও না কোনওভাবে পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকানদের হাত নিপীড়িত, শিশু, রোগী, নারী এবং অন্যদের রক্তে রঞ্জিত।’
প্রসঙ্গত, ইরানের শপথকৃত শত্রু যুক্তরাষ্ট্র হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িত হওয়া থেকে হামাসের মিত্র ইরান ও হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করার পদক্ষেপ হিসাবে দুটি বিমানবাহী রণতরী পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠিয়েছে।
ওয়াশিংটন চলতি সপ্তাহে নিশ্চিত করেছে যে, এটি তার ঘনিষ্ঠ মিত্রের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসাবে ইসরায়েলে কয়েক জন সামরিক উপদেষ্টা পাঠিয়েছে।
এদিকে, হামাসকে আর্থিক ও সামরিকভাবে সমর্থন করা ইরান ইসরায়েলে হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলাকে ‘সফলতা’ বলে অভিহিত করেছে।
কিন্তু ইসলামিক প্রজাতন্ত্র জোর দিয়ে বলেছে যে, তারা ওই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না।
ইসরায়েলকে উল্লেখ করে খামেনি বলেছেন, ‘সবাইকে জানতে দিন যে, ফিলিস্তিনি জাতি বিজয়ী এবং ভবিষ্যত বিশ্ব ফিলিস্তিনের বিশ্ব, ইহুদিবাদী শাসকের বিশ্ব নয়।’
অন্যদিকে, মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘তেহরানের প্রক্সিদের দ্বারা যেকোনও আক্রমণের নিশ্চিতভাবে জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র।’
ব্লিঙ্কেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে সংঘাত চায় না যুক্তরাষ্ট্র। আমরা চাই না এই যুদ্ধের প্রসার ঘটুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ইরান বা তার প্রক্সিরা যদি কোথাও মার্কিন কর্মীদের আক্রমণ করে, তবে আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করবো, আমরা আমাদের নিরাপত্তা রক্ষা করবো।’
ব্লিঙ্কেনের ওই মন্তব্যকে ‘ভুলবশত ইরানের উপর দোষ চাপানোর’ প্রচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছে ।