বেষ্টনী বিহীন নির্মাণাধীন ভবনে বৈদ্যুতিক শক খেয়ে ৫ তলা থেকে পড়ে নিহত ১
রাজন বড়ুয়া চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার সময় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের বাউন্ডারি ওয়াল থেকে মাত্র ২০ মিটার দুরত্বে নির্মানাধীন ৮ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবনের ৫ম তলার ছাদ নির্মানের রড উপরে উঠানোর সময় ১১ হাজার ভোল্টেজের ক্যাবলে বৈদ্যুতিক শক লেগে ৫ তলা হতে আব্দুর রহিম (৩৫) নামে এক নির্মান শ্রমিক নিচে পড়ে মৃত্যু বরণ করে। একই সময়ে কর্মরত অপর একজন শ্রমিক মেহেদী (২৫) বৈদ্যুতিক শক খেয়ে আহত হয়। আহত নির্মান শ্রমিক মেহেদী বর্তমানে চমেক এ চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে কোন প্রকার ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত প্রটেকশন না থাকাতে এমন মর্মান্তিক দূর ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরের পদ্মা অয়েলের জ্বালানি ট্যাংক ও বিমান এয়ারপোর্ট কমপ্লেক্সের পিছনে চরবস্তি এলাকায় ৮০/৯০ ফুট উঁচু ভবন নির্মানের বৈধ অনুমোদন নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। জানা যায় ঐ এলাকায় ২০১২ সাল হতে সিভিল অ্যাভিয়েশন এর অনুমোদন বন্ধ থাকায় সিডিএ প্লান পাস হচ্ছে না। কিন্তু এই ভবনটির অনুমোদনে সিভিল অ্যাভিয়েশন এর গোজালিল কপি সংযুক্ত করে মোটা অংকের অর্থ লেনদেন অভিযোগ উঠেছে। যার সঠিক তদন্ত প্রয়োজন। অন্যদিকে, বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে বহুতল ভবনটি শাহ আমানত বিমানবন্দরের জন্য চরম ঝুঁকির কারণ হিসেবে পরিনত হয়েছে।
আহত মেহেদির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তার পিতা এভিয়েশন নিউজকে জানান, নির্মানাধীন ভবনের মালিক ও কন্টাক্টরের কেউ আহতকে হাসপাতালে দেখতে আসাতো দূরের কথা খুঁজ খবর পর্যন্ত নেয়নি। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে আহত মেহেদির চিকিৎসার খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার পিতা আকুতি বরা কন্ঠে আহত ছেলের যথাযথ চিকিৎসার দাবি জানান।
নিহত আব্দুর রহিমের পরিবার নিশ্চিত করেন, নিহতের মৃতদেহ চমেক এর মর্গে রয়েছে। প্রয়োজনীয় খরচের অর্থের অভাবে তারা তাদের সন্তানের মৃত দেহ দাপনের ব্যবস্থা করতে পারছে না।
দূর ঘটনার বিষয়ে ভবন মালিক শামসুর আলমের পুত্র জসিমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুটোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় মালিক পক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।