লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহর সদরদপ্তরে শুক্রবারের বিমান হামলায় গোষ্ঠীটির প্রধান হাসন নাসরুল্লাহ মারা গেছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচে আদ্রাই শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন। খবর রয়টার্স, টাইমস অব ইসরায়েল।
ওই হামলায় হামলায় হাসান নাসরুল্লাহর মারা যাওয়ার গুঞ্জন উঠলেও শনিবার ভোর পর্যন্ত বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত করতে পারেনি আইডিএফ। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর তার মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার তথ্য জানাল ইসরায়েলে সামরিক বাহিনী।
এদিকে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ এখনও পর্যন্ত নাসরাল্লাহর অবস্থা সম্পর্কে কোনো বিবৃতি জারি করেনি। গতকালের হামলার পর ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সিকে হিজবুল্লাহর একটি সূত্র জানিয়েছিল নাসরুল্লাহ বেঁচে আছেন।
তবে শনিবার সকালে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচে আদ্রাই এক্স-এ এক বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘নিপাত করেছে… হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে।’
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীও শনিবার এক্স-এ এক পোস্টে বলেছে, “হাসান নাসরুল্লাহ আর বিশ্বকে সন্ত্রাস করতে সক্ষম হবেন না।” এর দ্বারা নাসরুল্লাহর মৃত্যুর শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টিই জানাল আইডিএফ।
বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে দাহিয়েহ নামে পরিচিত শহরতলিতে ব্যাপক হামলা চালানোর একদিন পর শনিবার ইসরাইল বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলী এবং লেবাননের অন্যান্য এলাকায় নতুন তরঙ্গ বিমান হামলা শুরু করেছে।
লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপের ঘনিষ্ঠ একটির সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’
আইডিএফ চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবির পর বলেছেন, যে কেউ ইসরায়েলকে হুমকি দেবে সামরিক বাহিনী তার কাছে পৌঁছাবে। তিনি বলেন, বার্তাটি সহজ, যে কেউ ইসরায়েল রাষ্ট্রের নাগরিকদের হুমকি দেয়, আমরা জানব কীভাবে তাদের কাছে যেতে হবে।
পেজার ও ওয়াটকিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পর গত সোমবার থেকে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী হিজবুল্লাহর বিভিন্ন অবস্থান লক্ষ করে হামলা চালিয়ে আসছে। এতে এ পর্যন্ত সাত শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।