বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে স্বপ্নের ‘ড্রিমলাইনার’। এ উড়োজাহাজের নির্মাতা যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানি। জাতীয় পতাকাবাহী বিমান এই কোম্পানির কাছ থেকে ৪টি সুপরিসর বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ কিনছে। এরমধ্যে আগামী বছর আগস্টে দু’টি এবং ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে বাকি দু’টি ড্রিমলাইনার সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট সর্বাধুনিক এই উড়োজাহাজে আসন সংখ্যা হবে ২৭১। আর ড্রিমলাইনারে জ্বালানি বোয়িং ৭৬৭ উড়োজাহাজের চেয়ে ২০ শতাংশ কম লাগবে।
বোয়িং কোম্পানি ২০০৭ সালের ৮ জুলাই থেকে ড্রিমলাইনার সরবরাহ শুরু করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে ৪টি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ কিনতে বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালে এই উড়োজাহাজ বিমানকে সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু বিমান বহরে আধুনিক উড়োজাহাজ যুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ উদ্যোগ নেন। তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই এই উড়োজাহাজ সরবরাহ পেতে বোয়িং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। সেই অনুরোধ পেয়ে বোয়িং কোম্পানি ২০১৯ সালের মধ্যেই ৪টি ড্রিমলাইনার বিমান সরবরাহ করতে সম্মত হয়।
প্রসঙ্গত, বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে বিমান ইতিমধ্যে ৪টি ৭৭৭-৩০০ইআর এবং বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ কিনেছে। এসব উড়োজাহাজ দিয়ে বিমান বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া বিমান বহরে লিজে আনা দু’টি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর এবং বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ যুক্ত রয়েছে। ড্রিমলাইনার আসার পর বিমান বহর থেকে লিজের ৪টি উড়োজাহাজই বিদায় নেবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএম মোসাদ্দিক আহমেদ জানান, বিমান বর্তমানে ১৫টি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরো ৪টি নতুন রুটে বিমান ফ্লাইট চালু করবে। এছাড়া সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা-দিল্লী রুটও চালু করা হবে।