জিএম থেকে বিমানের পরিচালক প্রশাসন হলেন মমিনুল ইসলাম

mominবাংলাদেশ বিমানের জেনারেল ম্যানেজার মমিনুল ইসলামকে পরিচালক প্রশাসন (ভারপ্রাপ্ত) পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগে তিনি একই বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন। জানাগেছে, দীর্ঘদিন জেনারেল ম্যানেজার (নিরাপত্তা)হিসাবে সুনামের সঙ্গে  দায়িত্ব পালন করায় গত বছর তাকে জিএম প্রশাসন পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এই বিভাগে পরিচালক হিসাবে বিমানের সাবেক পরিচালক (পরিকল্পনা) বেলায়েত হোসেন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, নামকাওয়াস্তে বেলায়েত হোসেন দায়িত্বে থাকলেও বিমানের পুরো প্রশাসন বিভাগ চালাতেন জিএম মুমিনুল ইসলাম। আর সুনামের সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করায় বিমান পরিচালণা পর্যদের সুপারিশে মুমিনুলকে রোববার পরিচালক (প্রশাসন) হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়। গত সপ্তাহে বেলায়েত হোসেন অবসরে গেলে গুরুত্বপুর্ণ এই পদটি শুন্য হয়। ধারনা করা হচ্ছে শিগগির মমিনুল ইসলামকে এই পদে স্থায়ী নিয়োগ দেয়া হতে পারে। অপর দিকে পরিচালক পরিকল্পনার পদটি বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দিক আহম্মেদ নিজের হাতে নেন। ধারনা করা হচ্ছে সাবেক জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) খান মোশাররফ হোসাইনকে এই বিভাগের (পরিকল্পনা) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক করা হতে পারে। শিগগিরই এই ব্যাপারে ঘোষনা আসতে পারে বলেও একটি সুত্রে জানাগেছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫তম দীর্ঘমেয়াদী কোর্স (লং কোর্স) থেকে চাকরী ছেড়ে দিয়ে ১৯৮৬ সালের ৩ নভেম্বর মমিনুল ইসলাম বিমানে যোগ দেন জুনিয়র অফিসার হিসেবে। এরপর ২০১১ সালে জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে পদোন্নতি পান তিনি। তারও আগে তিনি বিমানের ট্রেনিং সেন্টারসহ বিভিন্ন বিভাগে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রংপুর ক্যাডেট কলেজের একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন।

এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (কার্গো) আলী আহসান বাবুকে পরিচালক মার্কেটিং এন্ড সেল্স হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পরিচালক ড. সফিকুর রহমান অবসরে গেলে আলী আহসান বাবুকে পরিচালক মার্কেটিং পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এই বিভাগেও আলী আহসান বাবুকে স্থায়ী পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হতে পারে। এছাড়া বিমানের ম্যানেজার, ডিজিএম ও জিএম পর্যায়ে পদোন্নতি ও বেশ কিছু রদবদল ঘটেছে সম্প্রতি । এর মধ্যে জিএম পদে ব্যাপক পদোন্নতির পর কয়েকটি পদে নতুন করে পদায়নও করা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, বিমানের জিএম পদে একযোগে ১০ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল। তারা হলেন- মার্কেটিংয়ের সৈয়দ আহসান কাজী, কোয়লিটি অ্যান্ড সেফটি বিভাগের মো. আবদুল ওয়াদুদ, সেন্ট্রাল কন্ট্রোলের নজরুল ইসলাম, কাস্টমার সার্ভিসের নুরুল ইসলাম হাওলাদার, গণপূর্তের আব্দুল আজিজ, বিএটিসির পার্থ কুমার পাণ্ডে, পরিকল্পনা বিভাগের আবদুর রহমান ফারুকি, নিউইয়র্কের আশরাফুল ইসলাম, বাজেট শাখার মিজানুর রশিদ ও প্রেসের শাকিল মিরাজ।

তাদের মধ্যে দুজনকে নতুন পদে দেয়া হয়েছে। তারা হলেন- জনসংযোগ শাখা ও বিএফসিসির খান মোশাররফ হোসেনকে প্রেস শাখায় বদলি করা হয়েছে। জনসংযোগ শাখার নতুন জিএম হিসেবে ইতিমধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন শাকিল মেরাজ। এ পদে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করেন খান মোশাররফ হোসেন। তাকে এখান থেকে বদলি করার আগে বিএফসিসির পদ থেকে প্রেসে নেয়া হয়।

এছাড়া বিএফসিসির প্রধান করা হয়েছে সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত ডিজিএম জামাল উদ্দিন তালুকদারকে। মার্কেটিং শাখার আশরাফুল ইসলামকে মতিঝিল অফিসের জিএম এবং ওই অফিসের জিএম সৈয়দ আহসান কাজীকে প্রত্যাহার করে বলাকায় পদায়ন করা হয়।

জানাগেছে, ম্যানেজার থেকে ডিজিএম পদে আরেক দফা পন্নেতির কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ২৯ জনের নাম প্রাথমিকভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বিমানে বর্তমানে তিনটি পরিচালকের পদ খালি রয়েছে। কাস্টমার সার্ভিস, প্রকিউরমেন্ট ও প্রশাসন। এ তিনটে পরিচালক পদে বর্তমানে ৪জন জিএম প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। তারা হলেন- কাস্টমার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আতিক সোবহান, মার্কেটিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিএম আলী আহসান বাবু, প্রেসের খান মোশাররফ হোসেন, প্রশাসন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মমিনুল ইসলাম। প্রকিউরমেন্টের জিএম হাসান ইতিমধ্যে চাকরী ছেড়ে দিয়েছেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.