সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১২৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ। সেদিন দলের হয়ে একাই লড়াই করেন সাকিব। তার একার লড়াইয়ে (৬১ রান করেন) পরাজয় এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হেরে সিরিজ হারের শঙ্কায় পড়ে যায় টাইগাররা।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নামার আগে সমীকরণ ছিল হারলেই ট্রফি হাতছাড়া। সেই কঠিন সমীকরণের ম্যাচে জ্বর নিয়ে খেলে ব্যাট হাতে ২৬ বলে অপরাজিত ৪২ রান করার পাশাপাশি ক্যারিয়ার (২১ রানে ৫ উইকেট) সেরা বোলিং করেন সাকিব।
সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৬ রানে জিতে (১-১) সিরিজ সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।
এর আগে টেস্ট এবং ওয়ানডেতে একাধিকবার পাঁচ উইকেট করে শিকার করেন সাকিব। তবে টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম পাঁচ উইকেট পেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
খেলা শেষে নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং নিয়ে সাকিব বলেন, ‘খুবই ভালো লেগেছে, প্রথমবার কোনো কিছু হলে ভালো লাগেই। তিন ফরম্যাটের এক ফরম্যাটে ছিলো না, এখন হয়ে গেল। আসলে উইকেট পাওয়া একটু ভাগ্যের বাপার।’
এদিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে লিটন দাস, সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর ৬০, ৪২ ও ৪৩ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ২১১ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে সাকিবের ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে ১৯.২ ওভারে ১৭৫ রানে অলআউট ক্যারিবীয়রা। ব্যাট হাতে ২৬ বলে ৪২ রান করা সাকিব, বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন।
টি-টোয়েন্টিতে এর আগে শ্রীলংকার বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ ২১৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। এদিন ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১১ রান করল টাইগাররা।
দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সাকিব বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচের কোন নির্ধারিত নিয়ম নেই যে, এভাবে খেললেই জিততে পারব। আমার মনে হয় আমাদের আজ খুব ভালো দিন ছল। ফিল্ডিংয়ে কিছু ঘাটতি ছিল এছাড়া আমরা খুব ভালো একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি।’
প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটিং নিয়ে সাকিব বলেন, ‘দেখুন ওদের ব্যাটিং লাইন আপ অনেক বড় এবং সবাই বড় শট খেলতে পারে। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওদের ব্যাটিং অর্ডার শেষ হচ্ছিল চিন্তা তো একটু ছিলই ।’