বিদেশে পাড়ি জমাবেন কখনো স্বপ্নেও ভাবেননি টাঙ্গাইলের কালিহাতির আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩৬)।
জীবিকার তাগিদে পরিবার ছেড়ে অগ্যতা পরবাসের খাতায় নাম লিখাতে হল। হাজারো কষ্টে থাকলেও স্বজনদের জন্য সময় মতো টাকা পাঠাতে দেরি হয় না প্রবাসীদের।
এরকম একজন টাঙ্গাইলের কালিহাতির আব্দুল আজিজের ছেলে আব্দুল্লাহও। তিনি ১৮ বছর ধরে মালয়েশিয়া কাজ করছেন।
২০০৭ এর কলিং ভিসায় এসেছিলেন মালয়েশিয়া। ৫ ভাই-বোনদের মধ্যে আব্দুল্লাহ মেজো। পরিবারের হাল ধরেছেন শক্ত হাতে। পরিবারের সুখের আশায় বিয়ে করেননি এখনও।
মালয়েশিয়ার ষ্টার লাইট কোম্পানিতে কাজ করছিলেন তিনি। প্রথম প্রথম ভালই কাটছিল তার। বছর তিন পরে কোম্পানি আর ভিসা দেয়নি। পরে এ কোম্পানি থেকে চলে যান অন্যত্র।
এরপর থেকে অবৈধভাবেই কাজ করছিলেন । দালালকে টাকা দিয়েও আব্দুল্লাহ বৈধ হতে পারেননি। মনের কষ্ট চেপে কাজ করছিলেন।
২০১৮ সারের নভেম্বরে পিনাং আলমায় এম ওয়াই ফেক্টরিতে কাজ করার সময় তার বাম পা ভেঙ্গে যায়। তাৎক্ষনিক শুভাকাঙ্খিরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চলে চিকিৎসা সেবা।
কয়েকদিন পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে বের করে দিলে সিদ্ধান্ত নেন দেশে ফিরে যাওয়ার। চলে আসেন বাংলাদেশ হাই কমিশনে।
ট্রাভেল পাস নিতে সহযোগিতা নেন দুই বাঙ্গালী কামরুল- মোর্শেদের। তারাই তাকে দেশে পাঠানোর সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন বললেন আব্দুল্লাহ।
বর্তমানে স্পেশাল পাস সহসা না মিললেও দূতাবাসের সহযোগিতায় চলতি মাসের ২৯ তারিখে ইমিগ্রেশন থেকে স্পেশাল পাস নিয়ে দেশে ফিরবেন তিনি।
প্রবাসে নিজে কষ্টে থাকলেও পরিবারকে বুঝতে দেননি। শুধু আব্দুল্লাহই নয় আব্দুল্লাহর মত শত শত প্রবাসী প্রতারণার শিকার হয়ে খেয়ে না খেয়ে, পঙ্গু হয়ে দিনাতিপাত করছেন । এ সব যেন দেখার কেউ নেই।