চীনে নির্যাতিত উইঘুর মুসলিমদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন এরদোগান

চীনে নির্যাতিত উইঘুর মুসলিমদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। এ ছাড়া অস্ট্রেলীয় ১৭ উইঘুর নাগরিককে আটকের ঘটনায় বন্দি শিবির বন্দের আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

বন্দিশিবিরে আটকাবস্থায় মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আবদুরেহিম হেয়িতের মৃত্যুর পর মুখ খুলেছেন এরদোগান।

চীনের ওই বন্দিশিবিরগুলোয় নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তা বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তুরস্ক। হেয়িতের মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

২০১৭ সালে সংগীতশিল্পী আবদুরেহিম হেয়িতেকে আটক করে জিনজিয়াং প্রদেশে বন্দিশিবিরে রাখা হয়। তাকে আট বছরের জেল দেওয়া হয় বলে ধারণা করা হয়। তবে বন্দী অবস্থায় দ্বিতীয় বছরেই তার মৃত্যু হয়েছে। জিনজিয়াং প্রদেশে কমপক্ষে ১০ লাখ উইঘুর বন্দিশিবিরে রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

হেয়িতের মৃত্যুর পর শনিবার এরদোগান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা এখন আর গোপন নেই যে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুরকে বন্দী রাখা হয়েছে।

এটাকে মানবতার জন্য লজ্জাকর উল্লেখ করে এ ধরনের মানবিক বিপর্যয় বন্ধে জাতিসংঘকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

এদিকে চীনের শিনজিয়ান প্রদেশে অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী অধিবাসীরা আটকা পড়েছে বলে দাবি করছে অস্ট্রেলিয়ায় উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা। এ নিয়ে তারা সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান সোমবার জানিয়েছে যে অন্তত ১৭ জন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিককে গৃহবন্দি, কারাগারে অথবা শিনজিয়ানের পশ্চিম অঞ্চলের তথাকথিত শিক্ষাশিবির কেন্দ্রে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও কিছু উইঘুর পূর্ব তুর্কিস্তানের উল্লেখ করা হয়েছে।

আটক অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা চীনে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আর অন্যরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন।

উইঘুর অস্ট্রেলিয়ান কর্মী নুরগুল সোয়াত আটক ১৭ জনের ব্যাপারে গার্ডিয়ানকে জানান, তারা চীনে পৌঁছানোর পরে তাদের পাসপোর্ট নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। কারণ তাদের হাতে চীন পাসপোর্ট ছিল। যদিও তাদের স্থায়ী বাসস্থান আছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.