ভারতীয় হামলার ঘটনায় দ্বিধাহীনভাবে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। রেডিও পাকিস্তানের বরাতে ডন অনলাইনের খবরে এমন তথ্য জানানো হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কুরাইশির সঙ্গে এক ফোনালাপে একই সহানুভূতির কথা জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলুদ জাইশ আওগালু (মেভলুত চাভুসওগ্লু)।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আবুধাবিতে ওআইসির আসন্ন বৈঠকে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া হলে তার বিরোধিতা করবে তুরস্ক।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসও তাকে ফোন করে বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানান পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেছেন, তারা ভারতের সঙ্গে কোনো যুদ্ধে যেতে চাচ্ছেন না। নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
কাশ্মীর সীমান্তে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে বিধ্বস্ত করার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি এসব কথা বলেন। ইতিমধ্যে পরমাণু সমৃদ্ধ দুই দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়ে গেছে।
গ্যারিসন শহর রাওয়ালপিন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা উত্তেজনা বাড়াতে চাই না। আমরা যুদ্ধ বাড়াতে চাই না।
তিনি বলেন, ভারতের দুই বিমানচালক আটক হয়েছেন। তাদের একজন হাসপাতালে, আরেকজন কারাগারে।
আসিফ গফুর বলেন, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। এছাড়া ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
কেবল নিজেদের শক্তি দেখাতেই পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে। যেজন্য বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে, বললেন পাক সামরিক মুখপাত্র।
তিনি বলেন, পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানি বাহিনী প্রস্তুত ছিল। কাজেই বিমান দুটিকে তারা ফেলে দিয়েছে। এতে একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ তাদের অংশে গিয়ে পড়েছে, অন্যটা আমাদের অংশে।