আজমির শরিফে যাওয়া পাকিস্তানিদের ভিসা দেয়া বন্ধ করল ভারত।
আজমির শরিফে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানিদের ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ধর্মমন্ত্রী নুরুল হক কাদেরির বরাতে এ তথ্য জানায় দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন।
পাক ধর্মমন্ত্রী নুরুল হক কাদেরি বলেন, পাকিস্তান থেকে আজমিরগামীদের ভিসা দিতে অস্বীকার করেছে ভারত। এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও ঘৃণিত আচরণ। এর মাধ্যমে ভারত নিজেদের মানসিক সংকীর্ণতারই প্রমাণ দিল।
তিনি জানান, আগামী ৭ মার্চ পাকিস্তান থেকে ৫০০ পুণ্যার্থীর আজমির যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত সরকার তাদের ভিসা বাতিল করে দিয়েছে।
ভারতীয় দূতাবাস টেলিফোনে আমাদের বিষয়টি জানায়। আমরা আজমিরগামীদের এসএমএসে তাদের ভিসা বাতিলের তথ্য জানিয়ে দিয়েছি। এ ৫০০ তীর্থযাত্রীর পাসপোর্ট এখনও ফেরত দেয়নি। খাজা গরিবে নেওয়াজের তীর্থস্থানে সব দেশের ধর্মাবলম্বীরাই যেতে পারে। কিন্তু ভারত পুণ্যার্থীদের এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করল।
ভারত সরকার ভিসা না দেওয়ায় খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.) এর দরগায় দুই বছর ধরে পাকিস্তানিরা যেতে পারছে না বলেও জানান ধর্মমন্ত্রী।
ধর্মীয় বিষয়ে ভারত সরকার এমন সংকীর্ণ মানসিকতা দেখালেও পাকিস্তান এ ক্ষেত্রে উদারতা প্রদর্শন করছে জানিয়ে পাকিস্তানের ধর্মমন্ত্রী বলেন, বিগত এক বছরে ৫ হাজার ৬০০ শিখ ও ৩১২ জন হিন্দু তীর্থযাত্রীকে পাকিস্তান ভিসা দিয়েছে।
পাক-ভারত যুদ্ধাবস্থার মধ্যে গত রোববারও ৯৮ জন শিখ তীর্থযাত্রী পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে।