কাতারে পাইলট আটক : যে ব্যাখ্যা দিলো বিমান।
কাতারে বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরীকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা মোটেও ‘সঠিক নয়’ বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আজ শুক্রবার বিকেলে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিনল্যান্ড থেকে আনতে পাসপোর্ট ছাড়াই বিমানের একটি ফ্লাইট নিয়ে কাতারের দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দোহা ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশ বিমানের পাইলট আটক বা গ্রেপ্তার করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কোনো পাইলটকে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।’
এতে আরও বলা হয়, ‘গত ৫ জুন বিমানের ঢাকা-চট্টগ্রাম-দোহা রুটে বিজি১২৫ ফ্লাইটের অপারেটিং ক্যাপ্টেন হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। দোহায় অবতরণ করার পর তিনি লক্ষ্য করেন যে, তার পাসপোর্টটি তার সঙ্গে নেই। এমতাবস্থায় তিনি ইমিগ্রেশনে না গিয়ে দোহা এয়ারপোর্ট এ বিমান স্টেশন ম্যানেজার ও ঢাকা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দোহা এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্ট এর আগে ট্রানজিট হোটেল অরিক্স এ চলে যান। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় তার পাসপোর্ট দোহায় প্রেরণ করা হয় এবং তিনি স্বাভাবিক নিয়মেই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে দোহা নগরীতে বিমানের ক্রুদের নির্ধারিত হোটেল ‘ক্রাউন প্লাজায়’ চলে যান।’
বর্তমানে পাইলট ফজল মাহমুদ ওই হোটেলে অবস্থান করছেন এবং বিমান কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ১০ জুন ভোর রাতে দোহা থেকে বিজি১২৬ ফ্লাইট অপারেট করে ঢাকা আসবেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে স্পষ্ট করে বলা হয়, ‘পাসপোর্টবিহীন বিমান পাইলটকে আটকে দিলো দোহা ইমিগ্রেশন পুলিশ’ শীর্ষক সংবাদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এদিকে, পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট না থাকায় দোহায় তাকে আটকে দেওয়ার ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তিন কর্মদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে মন্ত্রপরিষদ সচিবের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।