প্রধানমন্ত্রীর বিমানে পাইলটের ভুল করা উচিত হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিমানে পাইলট ভুল করে পাসপোর্ট নেন নি বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর বিমান, তাই এমন ভুল করা তার উচিত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ইমিগ্রেশন পুলিশেরও উচিত ছিল পাসপোর্টটি দেখা। তার গাফিলতির কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (৮ জুন) দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরে দুই-তিন জায়গায় চেক হয়। তারপরও উনি চলে গেছেন। আমাদের ইমিগ্রেশনে তিনি ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েছেন। ইমিগ্রেশন পুলিশ জেনারেল ডিক্লারেশন দেখেছেন। পাসপোর্ট দেখতে চাইলে সব সময় পাইলটরা বলেন, পকেটে আছে। তারপরও আমাদের ইমিগ্রেশন পুলিশের গাফিলতির কারণে পুলিশ প্রধান ইতোমধ্যে তাকে সাসপেন্ড করেছেন। এখানে গাফিলতি হয়েছে।
তিনি বলেন, তবে আমি বলব এটা প্রধানমন্ত্রীর বিমান, তাই এই ভুলটা করা পাইলটের উচিত হয়নি।
এ ঘটনাটি এখনো তদন্ত চলছে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তদন্ত করা হচ্ছে। পুরো তদন্তের পর বিস্তারিত আরও জানা যাবে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তার প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান বলেন, সারা দেশের নিরাপত্তা ভালো ছিল। দেশের মানুষ সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করেছে। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জনগণের সহযোগিতা ছিল।
এবার ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি কম হয়েছে বলে দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তাঘাট মোটামুটি ক্লিয়ার ছিল। শুধু সিরাজগঞ্জ বাইপাসে একটু সমস্যা ছিল। তারপরও মানুষ সুন্দরভাবে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন।’
পাইলটের পাসপোর্টকাণ্ডে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাসপোর্ট না দেখেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদকে কাতারে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ায় তাকে শনিবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, পাইলট ফজল মাহমুদের কাছে আমাদের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা পাসপোর্ট চেয়েছিলেন। এর জবাবে পাইলট বলেছিলেন, পাসপোর্ট তার ব্যাগে। যেহেতু পাইলট সব সময় যাওয়া-আসা করেন, তিনি সিনিয়র পাইলট, তাই তার কথায় ইমিগ্রেশন পুলিশ বিশ্বাস করেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমানের জেনারেল ডিক্লারেশন (জিডি) দেখেই ইমিগ্রেশন করা হয়। এ সময় পাসপোর্ট প্রুভ হিসেবে দেখা হয়। এখানে দুজনেরই সমান দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাই ইতোমধ্যে ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে থাকা এসআই কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সদর দপ্তরে রিপোর্ট দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, পাসপোর্ট ছাড়াই কাতারে চলে যান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমানের বোয়িং-৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে যান তিনি।