নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা গ্রহণ করছে তুরস্ক

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা গ্রহণ করছে তুরস্ক।

যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত হুমকি ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা গ্রহণ করছে তুরস্ক। রোববার এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার প্রথম চালান নিয়ে রাশিয়া থেকে বিশেষজ্ঞরা তুরস্ক সফর করবেন।

স্কাই নিউজ অ্যারাবিকের খবরে বলা হয়, রোববার রুশ সেনাবাহিনীর একটি বিমানঘাঁটি থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম চালান লোড করা হবে। দু’টি কার্গো উড়োজাহাজে করে এগুলো তুরস্কে নেয়া হবে। পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বিষয়ক রুশ বিশেষজ্ঞরা সোমবারের মধ্যে তুরস্কে পৌঁছাবেন।

এর আগে জাপানের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন থেকে ফিরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছিলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার প্রথম চালান তুরস্কে পৌঁছাবে। পাশাপাশি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির সমাধান হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা কেনার জন্য ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে চুক্তি সই করেন এরদোগান।

কিন্তু মার্কিন সরকার শুরু থেকেই এ চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে বলেছে, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হিসেবে রাশিয়ার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কেনা তুরস্কের উচিত হবে না।

এ হুশিয়ারি সত্ত্বেও আঙ্কারা মস্কোর কাছ থেকে এস-৪০০ সংগ্রহ করলে তুরস্কের ওপর তিন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত শনিবার জাপানে জি-২০ সম্মেলনের এক ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন,রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনলে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেনি যুক্তরাষ্ট্র।

তবে এ বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ধোয়াশার মধ্যে রয়েছে। রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা গ্রহণ করলে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হবে কি না, তা স্পষ্ট করেনি ওয়াশিংটন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.