বিশেষ প্রতিনিধি॥ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো বিমান চলাচলে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার পর ইউরোপের সবজি বাজার হারানোর আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় বিদেশি ক্রেতাদের কাছে সবজির পাওনা টাকা আদায় নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ৩০টি দেশের সুপার মার্কেটে বাংলাদেশি শাকসবজি ও ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, যার পুরোটাই পাঠানো হয় কার্গো বিমানে। এ অবস্থায় ৪০ শতাংশ সবজির ক্রেতা যুক্তরাজ্য হঠাৎ করে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো পরিবহন স্থগিত করায় বিপাকে রপ্তানিকারকরা। তাদের আশঙ্কা, অনির্দিষ্টকালের জন্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি বন্ধ থাকলে সেদেশে বিনিয়োগ আটকে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক।
এ নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন রুট ঘুরে যে কার্গো যুক্তরাজ্যে যেতো সেগুলোও কার্গো পরিবহন না করার নোটিশ দিয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।
কার্গো পরিবহনে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তাদের নির্দেশনা অনুসারে নিরাপত্তার ঘাটতি দূর করা হবে।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেমের অভিমত হলো, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন দক্ষ অপারেটর নিয়োগ করতে হবে। যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ৩০টি দেশে সবজি ও ফলমূল রপ্তানি থেকে বর্তমানে ১ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়।